7:34 pm, Saturday, 27 July 2024

ঘোড়াঘাটে কৃষকের সূর্যমূখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে

প্রতিনিধির নাম

আনভির বাপ্পি ঘোড়াঘাট দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকেরা সূর্যমুখী ফুলের ভালো ফলনের আশা করছেন। চলতি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষককে দেয়া হয়েছে সার ও বীজ। বর্তমানে কৃষকদের জমিতে সূর্যমুখীর ফুল ফুঁটেছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন তেল উৎপাদনের কারখানা গড়ে উঠলে সূর্যমুখীর চাষ আরও বাড়তে পারে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, তেল উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে ও স্থানীয় কৃষকদের উৎসাহ দিতে চলতি মৌসুমে উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৮০ জন কৃষককে সূর্যমুখী চাষ করার জন্য বিধা প্রতি ১ কেজি করে বীজ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা পরামর্শ প্রদান সহ সূর্যমুখীর চাষকৃত জমি নিয়মিত পরিদর্শন করছেন।

এ বছর ১০ হেক্টর জমিতে ১৮ থেকে ২০ টন সূর্যমুখীর বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। এর ফলে চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি করে এবার কৃষকের মুখে হাঁসি ফুঁটবে বলেও আশা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

পৌরসভার ব্লকের কৃষক মো. ফারুক হোসেন বলেন, কৃষকরা সাধারণত ধান, গম সহ অন্যান্য ফসল নিয়ে সারা বছর ব্যস্ত সময় পার করেন তাই সূর্যমুখী চাষের দিকে নজন না দিলেও এ বছর কৃষি অফিসের থেকে প্রণোদনার আওতায় বীজ সার দেওয়ার কারণে অনেক কৃষকের মাঝে সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান জানান, ধান এবং সবজির চেয়ে সূর্যমুখীর চাষ লাভজনক কারণ সেচ কম লাগে, রোগ বালাই কম। আমাদের ক্রমবর্ধমান তেলের চাহিদা পূরনে সূর্যমুখী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালক করবে। তেল ছাড়াও খৈল দিয়ে মাছের খাবার ও গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এর কোন অংশই ফেলা যায়না। এছাড়াও প্রচলিত তেলের চেয়ে হৃদরোগে ঝুঁকি কমায় পুষ্টিবিদের এমন পরামর্শেও রান্নার তেল হিসেবে দিন দিন জায়গা করে নিচ্ছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 04:09:57 pm, Saturday, 23 March 2024
78 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

ঘোড়াঘাটে কৃষকের সূর্যমূখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে

আপডেট সময় : 04:09:57 pm, Saturday, 23 March 2024

আনভির বাপ্পি ঘোড়াঘাট দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকেরা সূর্যমুখী ফুলের ভালো ফলনের আশা করছেন। চলতি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষককে দেয়া হয়েছে সার ও বীজ। বর্তমানে কৃষকদের জমিতে সূর্যমুখীর ফুল ফুঁটেছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন তেল উৎপাদনের কারখানা গড়ে উঠলে সূর্যমুখীর চাষ আরও বাড়তে পারে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, তেল উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে ও স্থানীয় কৃষকদের উৎসাহ দিতে চলতি মৌসুমে উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৮০ জন কৃষককে সূর্যমুখী চাষ করার জন্য বিধা প্রতি ১ কেজি করে বীজ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা পরামর্শ প্রদান সহ সূর্যমুখীর চাষকৃত জমি নিয়মিত পরিদর্শন করছেন।

এ বছর ১০ হেক্টর জমিতে ১৮ থেকে ২০ টন সূর্যমুখীর বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। এর ফলে চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি করে এবার কৃষকের মুখে হাঁসি ফুঁটবে বলেও আশা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

পৌরসভার ব্লকের কৃষক মো. ফারুক হোসেন বলেন, কৃষকরা সাধারণত ধান, গম সহ অন্যান্য ফসল নিয়ে সারা বছর ব্যস্ত সময় পার করেন তাই সূর্যমুখী চাষের দিকে নজন না দিলেও এ বছর কৃষি অফিসের থেকে প্রণোদনার আওতায় বীজ সার দেওয়ার কারণে অনেক কৃষকের মাঝে সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান জানান, ধান এবং সবজির চেয়ে সূর্যমুখীর চাষ লাভজনক কারণ সেচ কম লাগে, রোগ বালাই কম। আমাদের ক্রমবর্ধমান তেলের চাহিদা পূরনে সূর্যমুখী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালক করবে। তেল ছাড়াও খৈল দিয়ে মাছের খাবার ও গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এর কোন অংশই ফেলা যায়না। এছাড়াও প্রচলিত তেলের চেয়ে হৃদরোগে ঝুঁকি কমায় পুষ্টিবিদের এমন পরামর্শেও রান্নার তেল হিসেবে দিন দিন জায়গা করে নিচ্ছে।