11:57 am, Saturday, 27 April 2024

আবৃত্তির নামঃ-“শেলির দোল” কবি : সোহিনী ঘোষ,, কলকাতা,,

প্রতিনিধির নাম

মোঃ মোমিন ইসলাম সরকার

স্টাফ রিপোর্টার,, পঞ্চগড়,,

প্রতি বছরের মত এ বছরেও দোল আসছে। কলেজে পরে শেলি। এবারের দোলটা একটু অন্যরকম ভাবে কাটাবে ভাবছে। এবার দোলে ঠিক হয়েছে শান্তিনিকেতন যাবে। শান্তিনিকেতনের দোলের ছবি দেখেছে আর ভেবেছে যাবেই কোনো না কোনো বার।

কলেজে দুদিন আগেই দোলের অনুষ্ঠান। নাম দিয়েছে শেলি। শেলি গান শেখে। গান নিয়েই ভর্তি হয়েছে রবীন্দ্রভারতীতে। গান সে করবে কিন্তু বান্ধবীরা ধরেছে নাচের অনুষ্ঠানেও নাম দিতে হবে। নাচ সে জানে না খুব একটা। ছোটবেলায় শিখেছে কিছুদিন তাই নামটা দিয়েই দিয়েছে।

অনুষ্ঠানের দিন খুব সুন্দর করে সেজেছে শেলি। হলুদ শাড়ী লাল ব্লাউস, লাল ফিতে দিয়ে নানারকম ফুল দিয়ে চুল বেঁধেছে। অপূর্ব সুন্দর দেখাচ্ছে শেলিকে। গান আর নাচ করে আবির খেলে মন খুব খুশি করে বাড়ি ফিরেছে।

এবার যাবে সে শান্তিনিকেতন। বাড়ির সবাই আর কিছু আত্মীয় সবাই মিলে যাবে। আবির খেলবে আর খুব সুন্দর করে ছবি তুলবে মজা করবে এটাই মনে ভাবনা। ট্রেনে যাবার সময় জানালার পাশে সিটে বসেছে। মনে অজানা আনন্দ। আপনা থেকেই গেয়ে উঠল”দেখ আলোয় আলোয় আকাশ” স্টেশনে নেমে কিছুদূরে হোটেল। পরদিন দোল।

খুব সুন্দর সেজে দোল খেলতে গেছে শেলি। অনেকক্ষন মনের আনন্দে রং খেলছে সবার সাথে। অনেক অচেনা মানুষের ভিড়। নানা নাচ গান আর আবিরের গন্ধ মনটাকে এক অন্য জগতে পৌঁছে দিয়েছে শেলির। যতটা তার কল্পনায় ছিল তার থেকে অনেক বেশি খুশি সে।

রাতে গেছে সোনাঝুরির হাটে। সেখানে সবাই নাচ করছে। শেলিও ওদের সাথে নাচ করতে লাগল। ” এই আকাশে আমার মুক্তি ” গাইছিল সে।

খুব খুব আনন্দ করছে শেলি। এবার বাড়ি ফেরার পালা। অনেকদিন শেলির মনে দোলের এই রঙ লেগে থাকবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 02:10:17 pm, Wednesday, 27 March 2024
274 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

আবৃত্তির নামঃ-“শেলির দোল” কবি : সোহিনী ঘোষ,, কলকাতা,,

আপডেট সময় : 02:10:17 pm, Wednesday, 27 March 2024

মোঃ মোমিন ইসলাম সরকার

স্টাফ রিপোর্টার,, পঞ্চগড়,,

প্রতি বছরের মত এ বছরেও দোল আসছে। কলেজে পরে শেলি। এবারের দোলটা একটু অন্যরকম ভাবে কাটাবে ভাবছে। এবার দোলে ঠিক হয়েছে শান্তিনিকেতন যাবে। শান্তিনিকেতনের দোলের ছবি দেখেছে আর ভেবেছে যাবেই কোনো না কোনো বার।

কলেজে দুদিন আগেই দোলের অনুষ্ঠান। নাম দিয়েছে শেলি। শেলি গান শেখে। গান নিয়েই ভর্তি হয়েছে রবীন্দ্রভারতীতে। গান সে করবে কিন্তু বান্ধবীরা ধরেছে নাচের অনুষ্ঠানেও নাম দিতে হবে। নাচ সে জানে না খুব একটা। ছোটবেলায় শিখেছে কিছুদিন তাই নামটা দিয়েই দিয়েছে।

অনুষ্ঠানের দিন খুব সুন্দর করে সেজেছে শেলি। হলুদ শাড়ী লাল ব্লাউস, লাল ফিতে দিয়ে নানারকম ফুল দিয়ে চুল বেঁধেছে। অপূর্ব সুন্দর দেখাচ্ছে শেলিকে। গান আর নাচ করে আবির খেলে মন খুব খুশি করে বাড়ি ফিরেছে।

এবার যাবে সে শান্তিনিকেতন। বাড়ির সবাই আর কিছু আত্মীয় সবাই মিলে যাবে। আবির খেলবে আর খুব সুন্দর করে ছবি তুলবে মজা করবে এটাই মনে ভাবনা। ট্রেনে যাবার সময় জানালার পাশে সিটে বসেছে। মনে অজানা আনন্দ। আপনা থেকেই গেয়ে উঠল”দেখ আলোয় আলোয় আকাশ” স্টেশনে নেমে কিছুদূরে হোটেল। পরদিন দোল।

খুব সুন্দর সেজে দোল খেলতে গেছে শেলি। অনেকক্ষন মনের আনন্দে রং খেলছে সবার সাথে। অনেক অচেনা মানুষের ভিড়। নানা নাচ গান আর আবিরের গন্ধ মনটাকে এক অন্য জগতে পৌঁছে দিয়েছে শেলির। যতটা তার কল্পনায় ছিল তার থেকে অনেক বেশি খুশি সে।

রাতে গেছে সোনাঝুরির হাটে। সেখানে সবাই নাচ করছে। শেলিও ওদের সাথে নাচ করতে লাগল। ” এই আকাশে আমার মুক্তি ” গাইছিল সে।

খুব খুব আনন্দ করছে শেলি। এবার বাড়ি ফেরার পালা। অনেকদিন শেলির মনে দোলের এই রঙ লেগে থাকবে।