7:09 pm, Saturday, 27 July 2024

ক্ষেতলালে এজেন্টের টাকা হাতিয়ে নিলেন প্রতারক চক্র

প্রতিনিধির নাম

মোঃসেলিম হোসেন রুবেল, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নগদ এজেন্ট নাম্বারে কাস্টমার কেয়ারের প্রতিনিধি, পরিচয় দিয়ে নগদ এজেন্ট গ্রাহককে ফোন দেন। বলে আপনার নগদ একাউন্ট আপডেট করতে হবে, নগদ একাউন্ট ব্লক করা হয়েছে, মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে এজেন্টের নগদের ওটপি নাম্বারটি কৌশলে সংগ্রহ করেন এবং একাউন্টটি হ্যাক করে জালিয়াতির মাধ্যমে এজেন্টের টাকা উত্তোলন করে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে ৷

ক্ষেতলাল উপজেলার, বড়াইল ইউনিয়নে, দক্ষিণ হাটসহর গ্রামে মোবাইল ব্যাংকিং এর নগদ এজেন্ট হিসেবে একটি দোকান চালাতেন মোঃ আইনুল হক (২৭), নগদ এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্টের, এসআর বিপ্লবের নাম্বার ক্লন করে ওটিপি হাতিয়ে নিয়ে, একাউন্টে থাকা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রতারণা করে তুলে নিয়েছে একটি চক্র । প্রতারক চক্রের প্রতারনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নগদ এজেন্টের আয়নুল হক এর স্ত্রী ৷ বৃহস্পতিবার (২৯মার্চ)সকাল ১১ টায় উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন দক্ষিণ হাটশহর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আইনুল হক দক্ষিণ হাটশহর গ্রামের আহমেদ আলীর ছেলে। রূপালী পারভীনের স্বামী।

পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ হাটশহর গ্রামের নগদ এজেন্ট ব্যবসায়ী আয়নুল হকের কাছে নগদের এসআর বিপ্লবের ফোন নম্বর ক্লোন করে শুক্রবার সকাল ১১ টায় অজ্ঞত নামা ০১৭৩৫-৯১২৯৭২ ফোনের ওপার থেকে দাবি করা হয় যিনি কল করছেন, তিনি নগদ এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার কর্মচারী ফোনের ওপার থেকে বলা হয় তাদের নগদ এজেন্ট একাউন্টন ব্লক হয়ে রয়েছে। যদি চালু না করা হয় এক কালিন ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করতে পারবেন না। আয়নাল হক বিষয়টি না বুঝেই প্রতারকদের হাতে তুলে দেন ওটিপি। মুহূর্তে খোয়ালেন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা৷

আয়নাল হকের স্ত্রী রূপালী পারভীন বলেন, প্রতারকদের কারণে আমরা পথের ভিখারি হলাম আমার খুব কষ্টের টাকা আমরা এই টাকা কিভাবে পরিশোধ করব। পুলিশ প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি, তদন্ত করে যেন নগদ প্রতারকদের আইনের আওতায় আনা হয়। টাকা ফেরত পেলে পুনরায় ব্যবসা করতে পারবো।

জানতে চাইলে নগদের এসআর বিপ্লব বলেন, আমরা এজেন্ট প্রদনের সময় নগদ ব্যাংকিং এজেন্ট ব্যবসায়ীকে যথাযথ প্রশিক্ষণ অধিক দিক নির্দেশনা দিয়েছি তিনি যখন টাকাগুলো আদান প্রদান করেন বারবার তাকে সতর্ক করা হয়েছে, আমি তার নগদে ধাপে ধাপে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা প্রেরণ করেছি, যেহেতু আমার নাম্বারটি ক্লন করে দোকানিকে ভুল বুঝিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আমিসহ আমার সংস্থার যতটুকু আইনি প্রক্রিয়া সহযোগিতা করার প্রয়োজন আমরা করবো, এই হ্যাকার প্রতারক চক্র যেন আইনের আওতায় আসে এই হ্যাকার গ্রুপ সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে৷

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ নিয়ে এসেছিল নগদ এজেন্ট ব্যবসায়ী আমি তাকে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি৷

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 09:11:47 pm, Friday, 29 March 2024
55 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

ক্ষেতলালে এজেন্টের টাকা হাতিয়ে নিলেন প্রতারক চক্র

আপডেট সময় : 09:11:47 pm, Friday, 29 March 2024

মোঃসেলিম হোসেন রুবেল, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নগদ এজেন্ট নাম্বারে কাস্টমার কেয়ারের প্রতিনিধি, পরিচয় দিয়ে নগদ এজেন্ট গ্রাহককে ফোন দেন। বলে আপনার নগদ একাউন্ট আপডেট করতে হবে, নগদ একাউন্ট ব্লক করা হয়েছে, মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে এজেন্টের নগদের ওটপি নাম্বারটি কৌশলে সংগ্রহ করেন এবং একাউন্টটি হ্যাক করে জালিয়াতির মাধ্যমে এজেন্টের টাকা উত্তোলন করে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে ৷

ক্ষেতলাল উপজেলার, বড়াইল ইউনিয়নে, দক্ষিণ হাটসহর গ্রামে মোবাইল ব্যাংকিং এর নগদ এজেন্ট হিসেবে একটি দোকান চালাতেন মোঃ আইনুল হক (২৭), নগদ এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্টের, এসআর বিপ্লবের নাম্বার ক্লন করে ওটিপি হাতিয়ে নিয়ে, একাউন্টে থাকা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রতারণা করে তুলে নিয়েছে একটি চক্র । প্রতারক চক্রের প্রতারনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নগদ এজেন্টের আয়নুল হক এর স্ত্রী ৷ বৃহস্পতিবার (২৯মার্চ)সকাল ১১ টায় উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন দক্ষিণ হাটশহর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আইনুল হক দক্ষিণ হাটশহর গ্রামের আহমেদ আলীর ছেলে। রূপালী পারভীনের স্বামী।

পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ হাটশহর গ্রামের নগদ এজেন্ট ব্যবসায়ী আয়নুল হকের কাছে নগদের এসআর বিপ্লবের ফোন নম্বর ক্লোন করে শুক্রবার সকাল ১১ টায় অজ্ঞত নামা ০১৭৩৫-৯১২৯৭২ ফোনের ওপার থেকে দাবি করা হয় যিনি কল করছেন, তিনি নগদ এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার কর্মচারী ফোনের ওপার থেকে বলা হয় তাদের নগদ এজেন্ট একাউন্টন ব্লক হয়ে রয়েছে। যদি চালু না করা হয় এক কালিন ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করতে পারবেন না। আয়নাল হক বিষয়টি না বুঝেই প্রতারকদের হাতে তুলে দেন ওটিপি। মুহূর্তে খোয়ালেন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা৷

আয়নাল হকের স্ত্রী রূপালী পারভীন বলেন, প্রতারকদের কারণে আমরা পথের ভিখারি হলাম আমার খুব কষ্টের টাকা আমরা এই টাকা কিভাবে পরিশোধ করব। পুলিশ প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি, তদন্ত করে যেন নগদ প্রতারকদের আইনের আওতায় আনা হয়। টাকা ফেরত পেলে পুনরায় ব্যবসা করতে পারবো।

জানতে চাইলে নগদের এসআর বিপ্লব বলেন, আমরা এজেন্ট প্রদনের সময় নগদ ব্যাংকিং এজেন্ট ব্যবসায়ীকে যথাযথ প্রশিক্ষণ অধিক দিক নির্দেশনা দিয়েছি তিনি যখন টাকাগুলো আদান প্রদান করেন বারবার তাকে সতর্ক করা হয়েছে, আমি তার নগদে ধাপে ধাপে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা প্রেরণ করেছি, যেহেতু আমার নাম্বারটি ক্লন করে দোকানিকে ভুল বুঝিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আমিসহ আমার সংস্থার যতটুকু আইনি প্রক্রিয়া সহযোগিতা করার প্রয়োজন আমরা করবো, এই হ্যাকার প্রতারক চক্র যেন আইনের আওতায় আসে এই হ্যাকার গ্রুপ সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে৷

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ নিয়ে এসেছিল নগদ এজেন্ট ব্যবসায়ী আমি তাকে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি৷