7:34 pm, Saturday, 27 July 2024

বরগুনায় বিল্ডিংয়ের দেয়াল ঘেঁষে বেলকনি, জানালা আটকিয়ে ভবন নির্মাণ, বাঁধা দেয়ায় খুনের হুমকি।

প্রতিনিধির নাম

বরগুনা সংবাদদাতা:

বরগুনার পাথরঘাটায় বড় ভাইয়ের বিল্ডিংয়ের দেয়াল ঘেঁষে বেলকনি ও জানালা আটকিয়ে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত ছোট ভাই এনামুল হক কাজীর বিরুদ্ধে। এমনটি ঘটনা ঘটেছে পাথরঘাটা উপজেলার, কাকচিড়া ইউনিয়নের, কাকচিড়া গ্রামে।

সোমবার (০১ এপ্রিল ২০২৪ ইং) সকাল সাড়ে দশটায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মৃত্যু মাওলানা নেছার উদ্দিন এর পাঁচ ছেলে আসাদুল হাওলাদার ,ফরহাদ উদ্দিন হাওলাদার, এনামুল হক কাজী, খালেদ উদ্দিন, মোঃ তোহা পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই ফরহাদ উদ্দিন বাবার নির্মাণকৃত বসতঘরের বিটিতে কাকচিড়া বাজারে বসবাস করে। অপর দুই ভাই খালেদ উদ্দিন ও তোহা প্রবাসে থাকেন এই সুবাদে যৌথভাবে একই বিডিতে চার ভাই সম্মিলিতভাবে দুই তলা আংশিক একটি ভবন নির্মাণ করে, কিন্তু বড় ভাই আসাদুল এর বিল্ডিংয়ের বেলকনি ও জানালা অবরুদ্ধ করে দেয়াল ঘেঁষে জোরপূর্বক বহিরাগত লোক নিয়ে সন্ত্রাসী স্টাইলে ভবন নির্মাণ করে অভিযুক্ত এনামুল হক কাজী, শুধু তাতেই ক্ষান্ত হননি ছোট ভাই তোহা প্রবাসে থাকার কারণে তার দখলকৃত প্লট দখল করে নিয়েছেন অভিযুক্ত এনামুল হক কাজী নামের এই ব্যক্তি। এই সংক্রান্ত ব্যাপারে নিরুপায় হয়ে আসাদুল হাওলাদার স্থানীয় গ্রাম আদালতে অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান তাৎক্ষনিক বিষয়টি আমলে নিয়ে ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে এনামুল হকের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করেন বিষয়টি মীমাংসা করবেন বলে পক্ষদ্বয়কে অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু গ্রাম আদালতকে তোয়াক্কা না করে এনামুল হক কাজী পাথরঘাটা থানায় আসাদুল হাওলাদার ও তার সহধর্মিনী সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ করে। ভুক্তভোগী আসাদুল হাওলাদার বলেন এনামুল হক কাজী তিনি আমাকে ও আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় খুনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তিনি এতই উত্তেজিত যে তার দ্বারা যে কোন মুহূর্তে আমিসহ আমার পরিবার বড় ধরনের ক্ষতি সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিপূর্বেও আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে,এ সংক্রান্ত ব্যাপারে আমার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পাথরঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি যাহার ডাইরি নং- ৫২৮ ও আমার স্ত্রী নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছে মামলা নং-৮৩৯ । এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যক্তিরাও। তোহার স্ত্রী রাহিমা আক্তার জানান এনামুল হক কাজী আমাদেরকে বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, আমার স্বামী প্রবাসে থাকায় আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ,আমার স্বামীর বসতবিটি দখল করে নিচ্ছে, আমি প্রতিবাদ করলে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তবে এ ঘটনা অভিযুক্ত এনামুল হক কাজী এড়িয়ে গিয়ে বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে বলেন তার জমিতেই তিনি ভবন নির্মাণের কাজ করছিলেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অহেতুক তাকে হয়রানি করছে জানান তিনি। এ বিষয়ে কাকচিড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু বলেন ভাইদের মধ্যে এমন বিরোধ থাকায়, বড় ভাই আসাদুল গ্রাম আদালতে অভিযোগ করলে বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে উভয়কে পরিষদে ডাকলে এনামুল হক কাজী তিনি বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা যাহাতে অবনতি হয় সেই লক্ষ্যেই তিনি এগিয়ে যাচ্ছিলেন ,এমতাবস্থায় গ্রাম পুলিশ দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য বলা হয়েছে। পাথরঘাটা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন এ বিষয়ে এক পক্ষ থানায় একটি অভিযোগ করেছে, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 05:05:33 pm, Monday, 1 April 2024
113 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

বরগুনায় বিল্ডিংয়ের দেয়াল ঘেঁষে বেলকনি, জানালা আটকিয়ে ভবন নির্মাণ, বাঁধা দেয়ায় খুনের হুমকি।

আপডেট সময় : 05:05:33 pm, Monday, 1 April 2024

বরগুনা সংবাদদাতা:

বরগুনার পাথরঘাটায় বড় ভাইয়ের বিল্ডিংয়ের দেয়াল ঘেঁষে বেলকনি ও জানালা আটকিয়ে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত ছোট ভাই এনামুল হক কাজীর বিরুদ্ধে। এমনটি ঘটনা ঘটেছে পাথরঘাটা উপজেলার, কাকচিড়া ইউনিয়নের, কাকচিড়া গ্রামে।

সোমবার (০১ এপ্রিল ২০২৪ ইং) সকাল সাড়ে দশটায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মৃত্যু মাওলানা নেছার উদ্দিন এর পাঁচ ছেলে আসাদুল হাওলাদার ,ফরহাদ উদ্দিন হাওলাদার, এনামুল হক কাজী, খালেদ উদ্দিন, মোঃ তোহা পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই ফরহাদ উদ্দিন বাবার নির্মাণকৃত বসতঘরের বিটিতে কাকচিড়া বাজারে বসবাস করে। অপর দুই ভাই খালেদ উদ্দিন ও তোহা প্রবাসে থাকেন এই সুবাদে যৌথভাবে একই বিডিতে চার ভাই সম্মিলিতভাবে দুই তলা আংশিক একটি ভবন নির্মাণ করে, কিন্তু বড় ভাই আসাদুল এর বিল্ডিংয়ের বেলকনি ও জানালা অবরুদ্ধ করে দেয়াল ঘেঁষে জোরপূর্বক বহিরাগত লোক নিয়ে সন্ত্রাসী স্টাইলে ভবন নির্মাণ করে অভিযুক্ত এনামুল হক কাজী, শুধু তাতেই ক্ষান্ত হননি ছোট ভাই তোহা প্রবাসে থাকার কারণে তার দখলকৃত প্লট দখল করে নিয়েছেন অভিযুক্ত এনামুল হক কাজী নামের এই ব্যক্তি। এই সংক্রান্ত ব্যাপারে নিরুপায় হয়ে আসাদুল হাওলাদার স্থানীয় গ্রাম আদালতে অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান তাৎক্ষনিক বিষয়টি আমলে নিয়ে ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে এনামুল হকের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করেন বিষয়টি মীমাংসা করবেন বলে পক্ষদ্বয়কে অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু গ্রাম আদালতকে তোয়াক্কা না করে এনামুল হক কাজী পাথরঘাটা থানায় আসাদুল হাওলাদার ও তার সহধর্মিনী সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ করে। ভুক্তভোগী আসাদুল হাওলাদার বলেন এনামুল হক কাজী তিনি আমাকে ও আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় খুনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তিনি এতই উত্তেজিত যে তার দ্বারা যে কোন মুহূর্তে আমিসহ আমার পরিবার বড় ধরনের ক্ষতি সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিপূর্বেও আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে,এ সংক্রান্ত ব্যাপারে আমার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পাথরঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি যাহার ডাইরি নং- ৫২৮ ও আমার স্ত্রী নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছে মামলা নং-৮৩৯ । এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যক্তিরাও। তোহার স্ত্রী রাহিমা আক্তার জানান এনামুল হক কাজী আমাদেরকে বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, আমার স্বামী প্রবাসে থাকায় আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ,আমার স্বামীর বসতবিটি দখল করে নিচ্ছে, আমি প্রতিবাদ করলে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তবে এ ঘটনা অভিযুক্ত এনামুল হক কাজী এড়িয়ে গিয়ে বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে বলেন তার জমিতেই তিনি ভবন নির্মাণের কাজ করছিলেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অহেতুক তাকে হয়রানি করছে জানান তিনি। এ বিষয়ে কাকচিড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু বলেন ভাইদের মধ্যে এমন বিরোধ থাকায়, বড় ভাই আসাদুল গ্রাম আদালতে অভিযোগ করলে বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে উভয়কে পরিষদে ডাকলে এনামুল হক কাজী তিনি বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা যাহাতে অবনতি হয় সেই লক্ষ্যেই তিনি এগিয়ে যাচ্ছিলেন ,এমতাবস্থায় গ্রাম পুলিশ দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য বলা হয়েছে। পাথরঘাটা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন এ বিষয়ে এক পক্ষ থানায় একটি অভিযোগ করেছে, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।