10:18 am, Saturday, 27 July 2024

কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বালু ডাঙ্গা জুয়া ও নেষা মুক্ত করার ঘোষণা দিলেন শান্ত

প্রতিনিধির নাম

অন্তর আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:

দশদিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার কিছু আগে নওগাঁ কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন সাবেক ছাত্র লীগ নেতা মোশাররফ হোসেন শান্ত এ সময় তাকে বালুডাঙ্গা চকগোবিন্দ এলাকাবাসী স্বাগত জানান। এর আগে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে মোশাররফ হোসেন শান্ত কে দেওয়া আদালতের জামিনের কাগজপত্র নওগাঁ কারাগারে পৌঁছায়।

জামিনে মুক্তি খবর পেয়ে ৫শতাধিক এলাকাবাসী জেল গেটের সামনে ফুলের মালা হাতে অপেক্ষায় থাকে মোশাররফ হোসেন শান্ত’র জন্য এ সময় তারা বলেন, শান্ত আমাদের গ্রামের ভালো ছেলে সে আমাদের জন্য সব সময় কাজ করে বিনিময় ছাড়া। বালু ডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ছোট বড় অনেক জুয়ার বোর্ড (ক্যাসিনো) বসে। শান্ত প্রথম থেকেই এ সব অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে কথা বলতো তাই এ-ই অবৈধ ব্যাবসার সাথে জড়িত সাজ্জাদ হোসেন ও ক্যাডার বাহিনী নিয়ে প্রতিনিয়িত হুমকি ধামকি দিত তার হুমকি ধামকি উপেক্ষা করে যখন বালুডাঙ্গা এলাকা থেকে জুয়ার বোর্ড ও মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে বলে তখন মিথ্যা হয়রানি মূলক শান্ত সহ আরো ১০/১২ জনের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করে।

মৌসুমি আক্তার (ছদ্মনাম) বলেন, শান্ত ভাইয়া পরোউপকারী একজন মানুষ তাকে বিপদে আপদে পাশে পাই তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে একই এলাকার মাস্তান সাজ্জাদ হোসেন আমরা তার বিচার চাই কেন এক জন ভালো মানুষকে হয়রানি করবে।

মোশাররফ হোসেন শান্ত বলেন, সাজ্জাদ বাহিনীর অত্যাচারে পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকা অতিষ্ট। দোকানদারদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নিতো। আর চাঁদা না দিলে বিড়ম্বনায় পড়তো হতো দোকানীদের। সাজ্জাদ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় কাউকেই তোয়াক্কা করে না। আমি বাধাঁ দিতে গেলে আমাকে হুমকি ধমকি দেয় এবং বলে আমি যেন এ সবের ভিতর না জড়াই। আমি অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দেয়নি বা ভবিষ্যতে দিবো না তাই আমি প্রতিবাদ করলে গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড এলাকায় দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি ও হাসুয়া সহ বিভিন্ন অস্ত্র সজ্জিত হয়ে সাজ্জাদ হোসেন ও তার ছেলে হৃদয়ের ক্যাডার বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায়, আমার দোকান ঘর ভাংচু করে। আমি তার হামলা প্রতিহত করার জন্য রাস্তায় বের হলে তারা পালিয়ে যায় ওরা আমার নামে মিথ্যা হয়রানি, মূলক মামলা করে আমাকে জেল খাটায়। আজকে আমি আবারও কথা দিচ্ছি এলাকাবাসীকে বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড এলাকায় কোন মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজি সহ সকল প্রকার অবৈধ কাজ কাউকে করতে দিব না। সে যত বড়ই মাস্তান হোক না কেন এই বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড চকগোবিন্দ এলাকা হবে মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজ মুক্ত।

উল্লেখ্য, গত (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের দিনে বাসস্টান্ডে শান্ত ও সাজ্জাদ হোসেন এর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াকে কেন্দ্র করে সাজ্জাদ হোসেন পরের দিন চাঁদাবাজি, হত্যা চেষ্টার মিথ্যা মামলা করে সেই মামলায় শান্ত সহ তিন জন কে আটক করে জেল হাজতে পেরন করেন পুলিশ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 03:10:20 pm, Friday, 26 April 2024
37 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বালু ডাঙ্গা জুয়া ও নেষা মুক্ত করার ঘোষণা দিলেন শান্ত

আপডেট সময় : 03:10:20 pm, Friday, 26 April 2024

অন্তর আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:

দশদিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার কিছু আগে নওগাঁ কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন সাবেক ছাত্র লীগ নেতা মোশাররফ হোসেন শান্ত এ সময় তাকে বালুডাঙ্গা চকগোবিন্দ এলাকাবাসী স্বাগত জানান। এর আগে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে মোশাররফ হোসেন শান্ত কে দেওয়া আদালতের জামিনের কাগজপত্র নওগাঁ কারাগারে পৌঁছায়।

জামিনে মুক্তি খবর পেয়ে ৫শতাধিক এলাকাবাসী জেল গেটের সামনে ফুলের মালা হাতে অপেক্ষায় থাকে মোশাররফ হোসেন শান্ত’র জন্য এ সময় তারা বলেন, শান্ত আমাদের গ্রামের ভালো ছেলে সে আমাদের জন্য সব সময় কাজ করে বিনিময় ছাড়া। বালু ডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ছোট বড় অনেক জুয়ার বোর্ড (ক্যাসিনো) বসে। শান্ত প্রথম থেকেই এ সব অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে কথা বলতো তাই এ-ই অবৈধ ব্যাবসার সাথে জড়িত সাজ্জাদ হোসেন ও ক্যাডার বাহিনী নিয়ে প্রতিনিয়িত হুমকি ধামকি দিত তার হুমকি ধামকি উপেক্ষা করে যখন বালুডাঙ্গা এলাকা থেকে জুয়ার বোর্ড ও মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে বলে তখন মিথ্যা হয়রানি মূলক শান্ত সহ আরো ১০/১২ জনের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করে।

মৌসুমি আক্তার (ছদ্মনাম) বলেন, শান্ত ভাইয়া পরোউপকারী একজন মানুষ তাকে বিপদে আপদে পাশে পাই তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে একই এলাকার মাস্তান সাজ্জাদ হোসেন আমরা তার বিচার চাই কেন এক জন ভালো মানুষকে হয়রানি করবে।

মোশাররফ হোসেন শান্ত বলেন, সাজ্জাদ বাহিনীর অত্যাচারে পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকা অতিষ্ট। দোকানদারদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নিতো। আর চাঁদা না দিলে বিড়ম্বনায় পড়তো হতো দোকানীদের। সাজ্জাদ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় কাউকেই তোয়াক্কা করে না। আমি বাধাঁ দিতে গেলে আমাকে হুমকি ধমকি দেয় এবং বলে আমি যেন এ সবের ভিতর না জড়াই। আমি অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দেয়নি বা ভবিষ্যতে দিবো না তাই আমি প্রতিবাদ করলে গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড এলাকায় দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি ও হাসুয়া সহ বিভিন্ন অস্ত্র সজ্জিত হয়ে সাজ্জাদ হোসেন ও তার ছেলে হৃদয়ের ক্যাডার বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায়, আমার দোকান ঘর ভাংচু করে। আমি তার হামলা প্রতিহত করার জন্য রাস্তায় বের হলে তারা পালিয়ে যায় ওরা আমার নামে মিথ্যা হয়রানি, মূলক মামলা করে আমাকে জেল খাটায়। আজকে আমি আবারও কথা দিচ্ছি এলাকাবাসীকে বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড এলাকায় কোন মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজি সহ সকল প্রকার অবৈধ কাজ কাউকে করতে দিব না। সে যত বড়ই মাস্তান হোক না কেন এই বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড চকগোবিন্দ এলাকা হবে মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজ মুক্ত।

উল্লেখ্য, গত (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের দিনে বাসস্টান্ডে শান্ত ও সাজ্জাদ হোসেন এর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াকে কেন্দ্র করে সাজ্জাদ হোসেন পরের দিন চাঁদাবাজি, হত্যা চেষ্টার মিথ্যা মামলা করে সেই মামলায় শান্ত সহ তিন জন কে আটক করে জেল হাজতে পেরন করেন পুলিশ।