9:29 am, Saturday, 27 July 2024

বিদ্যালয়ের টিন শিক্ষক ও দপ্তরী  পেটে

প্রতিনিধির নাম

অন্তর আহম্মেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি :

নওগাঁর মান্দায় নিয়ম বহির্ভূত ভাবে রেজুলেশন ছাড়াই “উপজেলার ২৫ নং মান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের” টিন বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মান্দা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য জিন্নাতুন নেছা ২৬মে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকসহ দপ্তরীর বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুরুচী রানী হাওলাদার, সহকারি শিক্ষক খায়রুল আলম ও দপ্তরী সাইফুল ইসলাম। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস পূর্বে উপজেলার ২৫ নং মান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের সময় পুরাতন ভবনটি ভেঙে ফেলার কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সুবিধার জন্য ঢেউটিন দিয়ে তিনটি রুম তৈরি করা হয়েছিল। নতুন ভবনের কাজ শেষ হয়ে গেলে, টিনের তৈরি তিনটি কক্ষ পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় কয়েকদিন পূর্বে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারি শিক্ষক পরিত্যাক্ত শ্রেণী কক্ষের টিনগুলো গোপনে বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি জানা জানি হলে প্রধান শিক্ষিকা নিজেকে বাঁচাতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেখানোর জন্য রাতারাতি কিছু পুরাতন টিন ক্রয় করেন।স্কুলের টিন ক্রেতা ভাঙ্গারী ব্যাবসায়ী মামুন বলেন, শিক্ষক খায়রুলের কাছ থেকে সাড়ে ৩ মন টিন ৮ হাজার টাকায় ক্রয় করেছিলাম। এর পর হঠাৎ করে আমাকে পুরাতন টিন কেনার জন্য খায়রুল মাস্টার ২৫০০ টাকা দেয় । আমি পুরাতন টিন না পেয়ে

তাকে টাকা ফেরত দিয়েছি। তাদের জন্য আমি মিথ্যা বলে ঝামেলায় জড়াতে চাইনা।প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকা সুরুচী রানী হাওলাদার বলেন, নিয়ম মেনে টিন বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রিত টিনের টাকা সভাপতির নিকট জমা রাখা হয়েছে বলে তিনি আরও বলেন, আপনাদের যা করার করতে পারেন। এ বিষয়ে আপনাদের আর কিছু বলতে চাইনা।টিন বিক্রির বিষয়টি স্কুলের সভাপতি শামীম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার টিন বিক্রি করে সেই টাকা ব্যাংকে জমা

রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কেউ এবিষয়ে কিছু জানেন কিনা এমন প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যান।এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা এ্যাডওয়ার্ড সরেন বলেন, টিনগুলো গুছিয়ে রাখতে বলা হয়েছিল। টিন বিক্রিয় করে থাকলে তিনি অপরাধ করেছেন। টিন বিক্রির বিষয়ে আমি অবগত নয়।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার শামসুজ্জামান বলেন, রেজুলেশন বা কোন প্রকার নিলাম ছাড়াই টিন গোপনে বিক্রিয় করার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি । ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে। সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 11:16:51 pm, Tuesday, 28 May 2024
40 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

বিদ্যালয়ের টিন শিক্ষক ও দপ্তরী  পেটে

আপডেট সময় : 11:16:51 pm, Tuesday, 28 May 2024

অন্তর আহম্মেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি :

নওগাঁর মান্দায় নিয়ম বহির্ভূত ভাবে রেজুলেশন ছাড়াই “উপজেলার ২৫ নং মান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের” টিন বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মান্দা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য জিন্নাতুন নেছা ২৬মে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকসহ দপ্তরীর বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুরুচী রানী হাওলাদার, সহকারি শিক্ষক খায়রুল আলম ও দপ্তরী সাইফুল ইসলাম। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস পূর্বে উপজেলার ২৫ নং মান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের সময় পুরাতন ভবনটি ভেঙে ফেলার কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সুবিধার জন্য ঢেউটিন দিয়ে তিনটি রুম তৈরি করা হয়েছিল। নতুন ভবনের কাজ শেষ হয়ে গেলে, টিনের তৈরি তিনটি কক্ষ পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় কয়েকদিন পূর্বে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারি শিক্ষক পরিত্যাক্ত শ্রেণী কক্ষের টিনগুলো গোপনে বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি জানা জানি হলে প্রধান শিক্ষিকা নিজেকে বাঁচাতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেখানোর জন্য রাতারাতি কিছু পুরাতন টিন ক্রয় করেন।স্কুলের টিন ক্রেতা ভাঙ্গারী ব্যাবসায়ী মামুন বলেন, শিক্ষক খায়রুলের কাছ থেকে সাড়ে ৩ মন টিন ৮ হাজার টাকায় ক্রয় করেছিলাম। এর পর হঠাৎ করে আমাকে পুরাতন টিন কেনার জন্য খায়রুল মাস্টার ২৫০০ টাকা দেয় । আমি পুরাতন টিন না পেয়ে

তাকে টাকা ফেরত দিয়েছি। তাদের জন্য আমি মিথ্যা বলে ঝামেলায় জড়াতে চাইনা।প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকা সুরুচী রানী হাওলাদার বলেন, নিয়ম মেনে টিন বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রিত টিনের টাকা সভাপতির নিকট জমা রাখা হয়েছে বলে তিনি আরও বলেন, আপনাদের যা করার করতে পারেন। এ বিষয়ে আপনাদের আর কিছু বলতে চাইনা।টিন বিক্রির বিষয়টি স্কুলের সভাপতি শামীম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার টিন বিক্রি করে সেই টাকা ব্যাংকে জমা

রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কেউ এবিষয়ে কিছু জানেন কিনা এমন প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যান।এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা এ্যাডওয়ার্ড সরেন বলেন, টিনগুলো গুছিয়ে রাখতে বলা হয়েছিল। টিন বিক্রিয় করে থাকলে তিনি অপরাধ করেছেন। টিন বিক্রির বিষয়ে আমি অবগত নয়।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার শামসুজ্জামান বলেন, রেজুলেশন বা কোন প্রকার নিলাম ছাড়াই টিন গোপনে বিক্রিয় করার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি । ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে। সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।