8:37 am, Saturday, 27 July 2024

ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাচনে ২১ দিন পর ভোটকেন্দ্র থেকে দুই হাজারের অধিক ব্যালট উদ্ধার:

প্রতিনিধির নাম

সেলিম হোসেন রুবেল,জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২১ দিন পর একটি নির্বাচনী কেন্দ্রের ষ্টোররুম ও অফিসের আলমারি থেকে ২ হাজারের অধিক ব্যালট পাওয়া গেছে।

জানাগেছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১ম ধাপে গত ৮ মে ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ২১ দিন পর ২৯ মে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের পাঁচ নং কেন্দ্র আকলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষ্টোররুম ও অফিসের আলমারি থেকে ২ হাজারের অধিক ব্যবহৃত এবং অব্যবহৃত কয়েকশত ব্যালট পেপার উদ্ধার করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

তৎক্ষনাৎ ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আয়েশা আক্তারকে বিষয়টি জানালে তিনি ওই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের হাতে মালামাল গুলি নির্বাচন অফিসে পাঠাতে বলেন।

পরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফতাবুজ্জামান আল ইমরানকেও অবগত করেন। বৃহস্পতিবার(৩০মে) ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ক্ষেতলাল সরকারি ছাঈদ আলতাফুন্নেছা কলেজের প্রভাষক তানভির আহমেদ সাকিব গিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হাসানের কাছ থেকে ওই ব্যালট পেপার গুলি কৌশলে নিয়ে যান।

নির্বাচনের ২১দিন পর কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধারের খবরে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

এবিষয়ে ওই ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ারুজ্জাম তালুকদার নাদিম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যালট পেপার, সেটা কিভাবে এতদিন পর একটি কেন্দ্র থেকে উদ্ধার হয়। ঘটনাটি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।

ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইটিং অফিসার ভুল করে কিছু মালামাল ছেড়ে এসেছিল তা পরে নিয়ে এসেছে।

প্রিজাটিং অফিসার তানভির আহম্মেদ সাকিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হাসান এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ক্ষেতলাল উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান আল ইমরানক বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি, উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 05:06:59 pm, Thursday, 30 May 2024
52 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাচনে ২১ দিন পর ভোটকেন্দ্র থেকে দুই হাজারের অধিক ব্যালট উদ্ধার:

আপডেট সময় : 05:06:59 pm, Thursday, 30 May 2024

সেলিম হোসেন রুবেল,জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২১ দিন পর একটি নির্বাচনী কেন্দ্রের ষ্টোররুম ও অফিসের আলমারি থেকে ২ হাজারের অধিক ব্যালট পাওয়া গেছে।

জানাগেছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১ম ধাপে গত ৮ মে ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ২১ দিন পর ২৯ মে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের পাঁচ নং কেন্দ্র আকলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষ্টোররুম ও অফিসের আলমারি থেকে ২ হাজারের অধিক ব্যবহৃত এবং অব্যবহৃত কয়েকশত ব্যালট পেপার উদ্ধার করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

তৎক্ষনাৎ ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আয়েশা আক্তারকে বিষয়টি জানালে তিনি ওই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের হাতে মালামাল গুলি নির্বাচন অফিসে পাঠাতে বলেন।

পরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফতাবুজ্জামান আল ইমরানকেও অবগত করেন। বৃহস্পতিবার(৩০মে) ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ক্ষেতলাল সরকারি ছাঈদ আলতাফুন্নেছা কলেজের প্রভাষক তানভির আহমেদ সাকিব গিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হাসানের কাছ থেকে ওই ব্যালট পেপার গুলি কৌশলে নিয়ে যান।

নির্বাচনের ২১দিন পর কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধারের খবরে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

এবিষয়ে ওই ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ারুজ্জাম তালুকদার নাদিম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যালট পেপার, সেটা কিভাবে এতদিন পর একটি কেন্দ্র থেকে উদ্ধার হয়। ঘটনাটি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।

ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইটিং অফিসার ভুল করে কিছু মালামাল ছেড়ে এসেছিল তা পরে নিয়ে এসেছে।

প্রিজাটিং অফিসার তানভির আহম্মেদ সাকিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হাসান এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ক্ষেতলাল উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান আল ইমরানক বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি, উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছি।