9:11 am, Saturday, 27 July 2024

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা প্রেমিকের বাড়িতে ডিভোর্সি এক সন্তানের জননী

লালন সরকার, বিশেষ  প্রতিনিধি 

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে এক প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে তার প্রেমিকের বাড়িতে দুইদিন ধরে অবস্থান নিচ্ছে।  ওই প্রেমিকা ঠাকুরগাও জেলার বালিয়া ইউনিয়ন শিবগঞ্জ শেনপাড়া এলাকার আব্দুল মমিনের মেয়ে মোছা: মকছেদা আক্তার (২৭)। প্রেমিক দেবীগঞ্জ উপজেলা ৮ নং দণ্ডপাল ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড শান্তিনগর এলাকার মো: আব্দুল মান্নান মোল্লার ছেলে মো: শামীম রানা (১৮)।  প্রেমিকা  মকছেদা আক্তার গতকাল শনিবার  (৮ জুন) দুপুর ৩টার সময় প্রেমিক শামীমের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন।  মকছেদা আক্তার গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান, শামীম রানার সাথে প্রায় ২/৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করে সময় কাটান।  দেবীগঞ্জের উপজেলা সদরে, নীলফামারীর নীলসাগর, গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় তারা দেখা স্বাক্ষাত করে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শামীম রানা মকসেদা আক্তারের সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।  মকছেদা আক্তার জানান, শামীম রানার সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার সাথে ভিডিও কলে কথা বলা, মেসেঞ্জার চ্যাটিং করা, মোবাইলে কথা বলাসহ অসংখ্য প্রমান আছে। শামীমের জন্য আমি আমার পূর্বের স্বামীকে তালাক দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, শামীম রানার বাড়িতে আসার পরেও আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। তারপর আমরা দুজন একরুমে প্রায় ৩ ঘন্টা ছিলাম। তারপর শামীমের বাড়ির লোকজন তাকে ঘর থেকে জোরপূর্বক বের করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়৷ তার অভিভাবকরা তাকে বলে তুমি বাড়ি থেকে পালিয়ে যা। আমাকে যদি পুত্রবধু হিসেবে মেনে না নেয় এবং তার সাথে যদি বিয়ে না হয় তাহলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকবেনা। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আমি তাদের বাড়ি থেকে বের হবো না। আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেবার জন্য শামীম রানার বোন রিনা আকতার আমাকে চুলের মুঠি ধরে মারপিট করে। গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।  মকছেদা আক্তারের ইতিপূর্বে বিয়ে হয়েছিল। সে ঘরে ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ওই স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর বর্তমানে বাড়িতে ছিল। তারপর গাজিপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকুরি করা অবস্থায় শামীম রানার সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।  ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুরুজ্জামান বলেন, মেয়ের পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসলে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।  দন্ডপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজগড় আলী জানান, গ্রাম্য পুলিশ দিয়ে মেয়েকে গতকালকে নিরাপত্তা দিয়েছি দরকার পরে আজকেও দিবো। মেয়ের বাড়ির লোকজন আসলে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 10:57:12 pm, Sunday, 9 June 2024
119 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা প্রেমিকের বাড়িতে ডিভোর্সি এক সন্তানের জননী

আপডেট সময় : 10:57:12 pm, Sunday, 9 June 2024

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে এক প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে তার প্রেমিকের বাড়িতে দুইদিন ধরে অবস্থান নিচ্ছে।  ওই প্রেমিকা ঠাকুরগাও জেলার বালিয়া ইউনিয়ন শিবগঞ্জ শেনপাড়া এলাকার আব্দুল মমিনের মেয়ে মোছা: মকছেদা আক্তার (২৭)। প্রেমিক দেবীগঞ্জ উপজেলা ৮ নং দণ্ডপাল ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড শান্তিনগর এলাকার মো: আব্দুল মান্নান মোল্লার ছেলে মো: শামীম রানা (১৮)।  প্রেমিকা  মকছেদা আক্তার গতকাল শনিবার  (৮ জুন) দুপুর ৩টার সময় প্রেমিক শামীমের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন।  মকছেদা আক্তার গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান, শামীম রানার সাথে প্রায় ২/৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করে সময় কাটান।  দেবীগঞ্জের উপজেলা সদরে, নীলফামারীর নীলসাগর, গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় তারা দেখা স্বাক্ষাত করে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শামীম রানা মকসেদা আক্তারের সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।  মকছেদা আক্তার জানান, শামীম রানার সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার সাথে ভিডিও কলে কথা বলা, মেসেঞ্জার চ্যাটিং করা, মোবাইলে কথা বলাসহ অসংখ্য প্রমান আছে। শামীমের জন্য আমি আমার পূর্বের স্বামীকে তালাক দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, শামীম রানার বাড়িতে আসার পরেও আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। তারপর আমরা দুজন একরুমে প্রায় ৩ ঘন্টা ছিলাম। তারপর শামীমের বাড়ির লোকজন তাকে ঘর থেকে জোরপূর্বক বের করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়৷ তার অভিভাবকরা তাকে বলে তুমি বাড়ি থেকে পালিয়ে যা। আমাকে যদি পুত্রবধু হিসেবে মেনে না নেয় এবং তার সাথে যদি বিয়ে না হয় তাহলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকবেনা। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আমি তাদের বাড়ি থেকে বের হবো না। আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেবার জন্য শামীম রানার বোন রিনা আকতার আমাকে চুলের মুঠি ধরে মারপিট করে। গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।  মকছেদা আক্তারের ইতিপূর্বে বিয়ে হয়েছিল। সে ঘরে ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ওই স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর বর্তমানে বাড়িতে ছিল। তারপর গাজিপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকুরি করা অবস্থায় শামীম রানার সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।  ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুরুজ্জামান বলেন, মেয়ের পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসলে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।  দন্ডপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজগড় আলী জানান, গ্রাম্য পুলিশ দিয়ে মেয়েকে গতকালকে নিরাপত্তা দিয়েছি দরকার পরে আজকেও দিবো। মেয়ের বাড়ির লোকজন আসলে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।