আমতলীতে সড়ক দূর্ঘটনায় টমটম চালক নিহত
বরগুনার আমতলী-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহসড়কের চুনাখালী নামক স্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় মোতালেব খান (৪৫) নামে এক টমটম চালক নিহত হয়েছে। মোতালেব আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ গাজীর গ্রামের মৃত আঃ বারেক খানের ছেলে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোতালেব উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের সাহেববাড়ি নামক স্থান থেকে টমটমে সার বোঝাই করে শাখারিয়া যাচ্ছিল। পথিমধ্যে চুনাখালী নামক স্থানে পৌছামাত্র সড়কের পাশের মাঠ থেকে আকস্মিক একটি ধান মাড়াই মেশিন সড়কে উঠছিল। ওই সময় মাড়াই মেশিন এবং তার চালকে বাঁচাতে গিয়ে টমটম চালক মোতালেব নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের পাশে দাড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে গিয়ে টমটম নিয়ে আছরে পরে। এতে সে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সংবাদ পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ টমটম চালক মোতালেবের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই বিষয়ে থানায় ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। #
পূর্ব শক্রতার জের ধরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে মারধর
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামে মাহফুজা (২২) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে পূর্ব শক্রতার জের ধরে মারধর করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বজনরা খবর পেয়ে আহত ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রাতেই আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
জানা গেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের রিপন ঘরামীর সাথে প্রতিবেশী কালাম মৃধার জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্ব›দ্ব চলে আসছে। ওই দ্বন্দের জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালাম মৃধার এইচএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে মাহফুজাকে ডেকে নিয়ে একই গ্রামের প্রতিবেশী কাঞ্চন ঘরামীর বাড়ির সামনে ফেলে রিপন ঘরামী ও তার ছেলে রিমন ঘরামী এবং ভাতিজা হানিফ ঘরামী মিলে বেধরক মারধর করে। মারধরের আঘাতে মাহফুজা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার বুকে পিঠে লাথি কিল ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করে। এক পর্যায়ে মাহফুজা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে স্বজনরা গিয়ে মাহফুজাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রæত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে তাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
মাফুজার মা হেলেনা বেগম জানান, বিনা অপরাধে মোর মাইয়াডারে রিপন ঘরামী তার ছেলে রিমন ঘরামী ও ভাতিজা হানিফ ঘরামী মিইল্লা ব্যামালা মাইর ধইর করছে। মুই এইয়ার বিচার চাই।
অভিযুক্ত রিপন ঘরামী মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, ছাগলে ধানের রোয়া খাইছে হেইয়া লইয়া মোগো লগে গন্ডগোল অইছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখওয়াত হোসেন তপু বলেন, ওই বিষয়ে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোঃ সোহরাব হোসেন
বরগুনা জেলা সংবাদদাতা
তারিখ ১৩-০৯-২৩