বরগুনার তালতলীতেশিশু যৌন পীড়ন মামলা তুলে নিতে শহিদুল ডাক্তার সহ আসামী পনু ঘরামীর পরিবারের লোকজনের হুমকি থেকে বাঁচার দাবী ও পনু ঘরামীর সর্বোচ্চ শান্তির দাবীতে তালতলী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন। করেছেন যৌন পীড়নের স্বীকার শিশুটির পিতা নিজাম খান।বৃহস্পতিবার দুপুর ১২.৩০ মিনিটের সময়, অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শিশুটির বাবা বলেন, গত ০৭-১০-২০২৩ ইং সকাল ৯.৩০মিনিটের সময় আমার আদরের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া কন্যা। ম্যানিপারা এলাকার পনু ঘরামির দোকানে ঝালমুড়ি কিনতে গিয়ে যৌন পীড়নের শিকার হয়।এরপর সারাদিন শিশু মেয়েটি আমার খুবই আতঙ্কে থাকে সন্ধ্যায় আমি বাড়িতে আসলে আমার কাছে সকল ঘটনা খুলে বলে। এ বিষয়ে আমি পনু ঘরামীর কাছে জানতে চাইলে তখন তিনি আমার পায়ে পরে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে মীমাংসার প্রস্তাব দেয়। মেয়ের ভবিষ্যৎ ও অন্যান্য মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি। এবং পরিবারের আত্মীয়-স্বজনের কাছে আলাপ-আলোচনা করে আইনের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। এবং তার এই নিকৃষ্ট কাজের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য তালতলী থানায় মামলা দায়ের করি। মামলা দায়ের করার পর পনু ঘরামির লোকজন ও ভাড়াটি সন্ত্রাসী মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত ভয়-ভীতি হুমকি দিয়ে আসছে।এদের এই হুমকির কারণে তিন সন্তান নিয়ে আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। যেকোনো সময় তারা আমাকে বা আমার সন্তানদের মেরে ফেলতে পারে।
এবং বিভিন্ন যায়গা থেকে নারী পুরুষ ভাড়া করে এনে এতবড় একটা ঘটনা মিথ্যা দাবী করে গতকাল সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে।এরপর রাতেই হঠাৎ করে আমার বাসায় শহিদুল ডাক্তার সহ পনু ঘরামীর আত্মীয়-স্বজন এসে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ সময় তারা বলে খোন্তা রাখাইনদের মতো হত্যা করে তোকে ফেলে রেখে যাবো। তোগো লাশ কেউ খুঁজে পাবেনা। ওই অবস্থা আতঙ্কিত হইয়া থানা পুলিশের নাম্বার মুখস্ত না থাকায় ৯৯৯ ফোন দিয়ে থানায় অবগত করি পুলিশ আসার সংবাদ শুনে আসামিরা আবারও হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে রাতে আমার বাড়ি ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে অন্য জায়গায় নিরাপদ আশ্রয় থাকি।বর্তমানে আমি আমার সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।আমি নর পিশাচ পনু ঘরামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। যদি পনু ঘরামীর সর্বোচ্চ শাস্তি না পাই তাহলে পৃথিবীর সকল কন্যা সন্তানের বাবা আমার মতো অপরাধী হয়ে থাকবে। আমার সন্তানের প্রতি করা অন্যায় অবিচারের বিচার যদি না পাই ।সারা জীবন আমার সন্তানের কাছে আমার মুখ লুকিয়ে থাকতে হবে। তাই আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো পনু ঘরামীর এমন কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক।যাতে এই অন্যায় আর কেউ করতে না পারে। সেই সাথে সরকারের কাছে আমাদের নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করছি।তবে এ সকল অভিযোগ অস্বীকার পনু ঘরামী পরিবার ও শহিদুল ডাক্তার বলেন, এর আগে মিথ্যে ঘটনায় মামলা করে হয়রানি করেছে। আর আজ মিথ্যে ঘটনা দেখিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে।তালতলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, ৯৯৯রাতে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে তালতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি দায়ের করেছেন।