6:45 am, Friday, 20 September 2024
সংবাদ শিরোনাম ::
ঘন কুয়াশা আর শীত পঞ্চগড়ের আলু চাষীরা বিপাকে, লোকসানের আশংকা
পঞ্চগড়ের জেলা সদরসহ পাঁচ উপজেলায় গত এক সপ্তাহ থেকে চলছে কখনও ঘন কুয়াশা, কখনও শিরশিরি বাতাস, কখনও শৈত্যপ্রবাহ। এতে জনজীবনে যেমন দুর্ভোগ নেমে এসেছে, তেমনি চরম বিপাকে পড়েছে আলু চাষীরা।তীব্র শীতে আলু ক্ষেতে ছত্রাকের আক্রমণ বেড়েছে।পাতা কুকড়ে যাচ্ছে। অতি মাত্রায় শীতের কারণে গাছের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং আর্লি ব্লাইট দেখা দিয়েছে। এতে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।সমস্যা মোকাবেলা করতে গিয়ে ২-১ দিন অন্তর অন্তর ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে।এতে উৎপাদন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে বলে জানায় চাষীরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে জেলায় এবার আলু চাষের জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৮শ ৫০হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৮শ ৫৭ হেক্টর জমি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২লক্ষ ৬৩ হাজার ৪শ ৮৮ মেট্রিক টন। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে,গত ১৩ শনিবার থেকে ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রী থেকে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠানামা করেছে। চাষী দুলু হোসেন বলেন,আগে আলু ক্ষেতে ৭ দিন পর পর ছত্রানাশক স্প্রে করি। শীত ঘনকুয়াশার কারনে এক দিন পর পর স্প্রে করতে হচ্ছে। পঞ্চগড় সদর উপজেলার ভাউলাপাড়া এলাকার আলু চাষী সাদেকুল ইসলাম জানান,তীব্র শীতে আলু গাছে আর্লি ব্লাইট ধরেছে।এতে ৭২ ঘন্টা পর পর ছত্রানাশক স্প্রে করতে হচ্ছে।যার এক কেজি কীটণাশকের দাম ১ হাজার ৮০০ টাকা।এক একরে দিলেই শেষ।এতে উৎপাদনে খরচ অনেক বেড়েছে। চাষী হাফিজুর রহমান জানান,শীতে আলু গাছের কুশি মরে যাচ্ছে।এতে একদিন পর পর স্প্রে করতে হচ্ছে।খরচ অনেক বেশি হচ্ছে।ফলন কম হওয়ারও সম্ভবনা রয়েছে।যদি হয় লোকসানও হতে পারে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মো.নইমুল হুদা সরকার বলেন, এবার জেলায় আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।তবে একাধারে তিনদিনের বেশী গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা বা বৃষ্টি হলে আলু ক্ষেতে মোড়ক রোগ হতে পারে। প্রতিকুল পরিবেশ মোকাবিলা করার জন্য আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকদের সাথে যোগাযোগ রেখে পরামর্শ প্রদান করছেন।আশা করছি সমস্যা হবে না।
ট্যাগস :