পঞ্চগড়ে মহাসড়ক দখল করে চলছে পাথর বালি ব্যবসা
মোঃ রাশেদুল ইসলাম,পঞ্চগড়।।
পঞ্চগড়ে মহাসড়কে প্রায় সময় ঘটছে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা। এতে প্রাণহানি, অঙ্গহানি সহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি যেন স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে এ জেলায়। সড়কে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি রোধে বিভিন্ন আইন থাকলেও তা রয়েছে ক্ষমতাধর দের শিকলে বাধা। জেলার বিভিন্ন স্থানে মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিনের পর দিন ব্যবসা করছেন অনেকেই। স্থানীয়রা জানান, বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর এলাকা থেকে শুরু করে পঞ্চগড় জেলা শহর পর্যন্ত হাইওয়ে সড়কে প্রায় সময় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। মহাসড়কে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইন রয়েছে। কিন্তু এসব আইন বা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অনেকেই মাহাসড়কের জায়গায় ক্ষমতার জোরে অনেকেই পাথর বালির ব্যবসা করছে। দিনে ও রাতে সড়কের উপর যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে তারা ট্রাকে পাথর বালি লোড আনলোড করছে। আবার রাস্তায় রাখা পাথর বালির কারনে ছোট বা মাঝারি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে প্রায় সময়। কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অভাবে সড়ক দখল করা এই ব্যবসায়ীদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পঞ্চগড় – তেঁতুলিয়া মহাসড়কের চাওয়াই ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় মুক্তাঞ্চল পার্ক এলাকার বাসিন্দা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ এখানে মুক্তাঞ্চল পার্ক করেছে। এটা এই এলাকার মুক্তিযুদ্ধ কালীন স্মৃতি মনে করিয়ে দিবে। এখানে অনেকেই ঘুরতে আসে। বিশেষ দিনগুলোতে এখানে অনেক মানুষের ব্যাপক সমাগম হয়। কিন্তু এখানে সড়কের উপর বালি পাথর রেখে শুধু এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে নি পাশাপাশি যে কোন সময় ঘটতে পারে অনাকাঙিক্ষত দুর্ঘটনা। মহাসড়কের উপর রাখা পাথর বালি অপসারণ করে অনাকাঙিক্ষত দুর্ঘটনা রোধে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান পথচারী সহ স্থানীয়রা। এ বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলি, সড়ক বিভাগ পঞ্চগড় মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে পঞ্চগড় বাংলাবান্ধা মহাসড়কের ৫৩ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে সতর্কতামূলক বিলবোর্ড দেওয়া হয়েছে। যারা মহাসড়কের জায়গা দখল করে ব্যবসা করছে তাদেরকে মৌখিক ভাবে এবং নোটিশ দিয়ে জায়গা খালি করতে বলা হয়েছে। তার পরেও যারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে সুশীল সমাজের দ্বাবী, জেলা প্রশাসনের আইন প্রয়োগ কারী সংস্থার কার্যকরী ভূমিকাই সড়ক দখল মুক্ত হবে।