পঞ্চগড়ে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলারআসামীকে নিয়োগের প্রতিবাদে মানববন্ধন
একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার হাড়িভাষা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামি কে নিয়োগ প্রদান করায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিদ্যালয়ের জমিদাতাসহ স্থানীয়রা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। ২২ এপ্রিল হাড়িভাষা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন।
জানা যায় পুর্বে নানান অনিয়ম ও ঘুষ-বানিজ্যের অভিযোগে হাড়িভাষা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা ৩ বার স্থগিত করেন কর্তৃপক্ষ।
গত ২০ এপ্রিল ডিজির প্রতিনিধি ও পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেনের উপস্থিতিতে পুনরায় নিয়োগ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নিয়োগ পরীক্ষায় অফিস সহায়ক পদে ১১ জন ও পরিছন্নতা কর্মী পদে ৪ জন অংশ গ্রহন করে। অফিস সহায়ক পদে লিখিত পরীক্ষায় ৬ জন উত্তীর্ণ হন এবং পরিছন্নতা কর্মী পদে ২ জন উত্তীর্ণ হন। পরিছন্নতা কর্মী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় কোন হস্তক্ষেপ না করলেও অফিস সহায়ক পদে সভাপতি হস্তক্ষেপ করেন।
মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামি হাড়িভাষা ইউনিয়নের অধিকারিপাড়া গ্ৰামের বাসিন্দা খোশবুল আলমকে নিয়োগ দেন।
খোশবুল আলমের বাড়ি থেকে প্রশ্নপত্র তৈরির সময় ল্যাপটপসহ তাকে আটক করা হয়। পরে তার নামে পঞ্চগড় সদর থানায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দায়ের হয়। সে মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এই স্কুলে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করায় স্থানীয় স্কুলের জমিদাতাসহ এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন।
এছাড়াও ভুক্তভোগীরা বলেন খোশবুল আলম ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাকির হোসেনের মেয়ের গৃহ শিক্ষক। খোশবুল আলম নিয়মিত ভাবে প্রাইভেট পড়াতেন। সেই সুবাদে স্বজন প্রীতির মাধ্যমে ১১ লক্ষ টাকার ঘুষ বাণিজ্যর মাধ্যমে নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামি খোশবুল আলম কে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করানো হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। নিয়োগ কমিটিতে সভাপতি নিয়োগের হস্তক্ষেপ করেন। নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠলে নিয়োগর দিন সভাপতি উপস্থিত সকলকে অশ্লীল ভাবে গালিগালাজ করতে থাকে।
মানববন্ধন কারীরা বলেন এই ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করতে হবে।