স্বাগতিক দল ছাড়াই পঞ্চগড়ে শুরু হলো জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুনামেন্ট।
একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দল ছাড়াই শুরু হলো চতুর্থ বারের মত পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুনামেন্ট। টুনামেন্টের উদ্ধোধনী খেলা শুরুর আগে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন পঞ্চগড় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও টুনামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদত সম্রাট, বীরমুক্তিযোদ্ধা সারওয়ার হোসেন, পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ, পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সদস্য মেহেদী হাসান খান বাবলা। পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক ৮ দলীয় ফুটবল টুনামেন্টের আয়োজন করলেও পঞ্চগড় জেলা থেকে কোন দল রাখা হয়নি। স্বাগতিক দল ছাড়া এ খেলা নিয়ে পুরো জেলায় শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এলাকার সচেতন মহল মনে করছে পঞ্চগড়ে কি কোন খেলোয়াড় নেই। একটি দল গঠন করার মত কি পঞ্চগড়ে কোন খেলোয়াড় জম্ম হয়নি। কি কারনে পঞ্চগড়ের ক্রীড়া সংস্থা এমন করলো তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। এটা পঞ্চগড় বাসীকে অপমান করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি জানান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা অকার্যকর। বাহিরের জেলার খেলোয়াড়রা তাদের নৈপুণ্য দেখাবে আর পঞ্চগড়ের লোকেরা গ্যালারীতে বসে হাততালি দিবে। পঞ্চগড় জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে পঞ্চগড় বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে ১১ জুন মঙ্গলবারের উদ্ধোধনী খেলায় রাজশাহীর কিশোর ফুটবল একাডেমির সাথে জয়পুরহাট ফুটবল একাডেমি প্রতিদ্বন্দীতা করে। প্রতিটি খেলাই বিকেল ৩ টা শুরু হবে। বুধবার ঠাকুরগাও জেলার রানীশংকৈল এসআরএফসি খেলবে কুষ্টিয়া জেলা দলের সাথে। ১২ তারিখে খেলবে সৈয়দপুর মিহির স্পোর্টিং ক্লাব বনাম গাইবান্ধার ষ্টার ফুটবল একাডেমি। ১৩ জুন খেলবে বগুড়া খেলোয়াড় কল্যান সমিতি বনাম রংপুর স্যান্টোস ক্লাব। ২০ ও ২১ জুন প্রথম ও দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে ২৮ জুন।