10:12 pm, Thursday, 19 September 2024

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের নামে চেয়ারম্যানের মামলা

প্রতিনিধির নাম
আতাউর রহমান  দেবীগঞ্জ :
নারী কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক সাইদুজ্জামান রেজার নামে মামলা দায়ের করেছে দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিভূষণ রায়।গত ২৪ জুন  রংপুরের বিজ্ঞ সাইবার টাইবুন্যালে এ  মামলা দায়ের করেন।বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে দেবীগঞ্জ থানার ওসি কে আগামী ধার্য তারিখ ৬ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।মামলা করায় কয়েকদিন ধরে চলছে সমালোচনা।অভিযোগে লিখা হয়েছে সাইদুজ্জামান রেজা তার ফেসবুক আইডি থেকে ২ জুনে পর্নোগ্রাফি ব্যাপক প্রচার করেছেন।
মামলায় সাংবাদিক সাইদুজ্জামান রেজা  সাংবাদিক   এনামুল হক  দৈনিক প্রতিদিণের কাগজ (দেবীগঞ্জ )   সহ ৮ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন ওই চেয়ারম্যান।
সাংবাদিক সাইদুজ্জামান রেজা দৈনিক সকালের সময় ও নাগরিক টেলিভিশনের পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি এবং পঞ্চগড় জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এদিকে সাংবাদিকের নামে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র  নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা।
জানা যায়,এর আগে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় বউ ও স্বামী রেখে পরকীয়া সম্পর্কে মজেছেন পামুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিভূষন রায় ও তার পরিষদের সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য মোছা. রাশেদা বেগম।পরিস্থিতি বেগতিক অবস্থায় যাওয়ায় প্রতিকার চেয়ে দেবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন রাশেদা বেগমের স্বামী আবু সাঈদ।আবু সাঈদ হাসানপুর কাঠালতলী এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাশেদা বেগমের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে।তার স্বামী ভাগ্যন্নোয়নে চার বছর আগে বিদেশে যান। সেখান থেকে স্ত্রীর হিসাব নম্বরে টাকা পাঠাতেন।এরই মধ্যে রাশেদা বেগম পামুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিভূষন রায়ের সাথে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এদিকে বিদেশে থেকে দেশে ফেরেন আবু সাঈদ।এরপর স্ত্রীর কাছে পাঠানোর টাকার হিসাব চাইলে সে বিভিন্ন তালবাহানা করে। পরে রাশেদা পরকীয়া আর কিছু টাকা চেয়ারম্যানকে দেওয়ার কথা স্বীকার করে। সেই সঙ্গে অনুতপ্ত হয়ে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চায়।তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার পরে পরকীয়া সম্পর্ক  চলমান রাখে। চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে বাঁধা দিলে তিনি বিভিন্নভাবে হুমকি দেন ।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 04:12:10 pm, Sunday, 30 June 2024
109 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের নামে চেয়ারম্যানের মামলা

আপডেট সময় : 04:12:10 pm, Sunday, 30 June 2024
আতাউর রহমান  দেবীগঞ্জ :
নারী কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক সাইদুজ্জামান রেজার নামে মামলা দায়ের করেছে দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিভূষণ রায়।গত ২৪ জুন  রংপুরের বিজ্ঞ সাইবার টাইবুন্যালে এ  মামলা দায়ের করেন।বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে দেবীগঞ্জ থানার ওসি কে আগামী ধার্য তারিখ ৬ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।মামলা করায় কয়েকদিন ধরে চলছে সমালোচনা।অভিযোগে লিখা হয়েছে সাইদুজ্জামান রেজা তার ফেসবুক আইডি থেকে ২ জুনে পর্নোগ্রাফি ব্যাপক প্রচার করেছেন।
মামলায় সাংবাদিক সাইদুজ্জামান রেজা  সাংবাদিক   এনামুল হক  দৈনিক প্রতিদিণের কাগজ (দেবীগঞ্জ )   সহ ৮ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন ওই চেয়ারম্যান।
সাংবাদিক সাইদুজ্জামান রেজা দৈনিক সকালের সময় ও নাগরিক টেলিভিশনের পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি এবং পঞ্চগড় জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এদিকে সাংবাদিকের নামে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র  নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা।
জানা যায়,এর আগে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় বউ ও স্বামী রেখে পরকীয়া সম্পর্কে মজেছেন পামুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিভূষন রায় ও তার পরিষদের সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য মোছা. রাশেদা বেগম।পরিস্থিতি বেগতিক অবস্থায় যাওয়ায় প্রতিকার চেয়ে দেবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন রাশেদা বেগমের স্বামী আবু সাঈদ।আবু সাঈদ হাসানপুর কাঠালতলী এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাশেদা বেগমের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে।তার স্বামী ভাগ্যন্নোয়নে চার বছর আগে বিদেশে যান। সেখান থেকে স্ত্রীর হিসাব নম্বরে টাকা পাঠাতেন।এরই মধ্যে রাশেদা বেগম পামুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিভূষন রায়ের সাথে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এদিকে বিদেশে থেকে দেশে ফেরেন আবু সাঈদ।এরপর স্ত্রীর কাছে পাঠানোর টাকার হিসাব চাইলে সে বিভিন্ন তালবাহানা করে। পরে রাশেদা পরকীয়া আর কিছু টাকা চেয়ারম্যানকে দেওয়ার কথা স্বীকার করে। সেই সঙ্গে অনুতপ্ত হয়ে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চায়।তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার পরে পরকীয়া সম্পর্ক  চলমান রাখে। চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে বাঁধা দিলে তিনি বিভিন্নভাবে হুমকি দেন ।