10:17 pm, Thursday, 19 September 2024

নওগাঁয় ব্যবসায়ির বাড়িঘর ভাঙচুর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ

অন্তর আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:

নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁপানিয়া ইউনিয়নের লক্ষনপুর পশ্চিমপাড়া পৃর্ব শত্রুতা জেরে ব্যবসায়ি মোঃ হারুন অর রশিদের বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ ও তাকে মারপিট মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ একই এলাকার আরজুমান বেগম ও তার মামা শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে মোঃ হারুন অর রশিদের ছেলে আতিক হোসেন বলেন, আমার বাবার জমির সীমানা প্রাচীরে মোছা: আরজুমান বেগম রান্না ঘরের চাল তুলে তাদের দাবী করে। এই সীমানা প্রাচীর অনেক পুরাতন ফাটল ধরেছে তাদেরকে আমার বাবা মোঃ হারুন অর রশিদে অনেক দিন থেকেই বলেছে এই সীমানা প্রাচীর থেকে টিন গুলো সরিয়ে নিতে, তারা নাই নাই। এই সীমানার প্রাচীর অনেক পুরাতন হেলে পড়েছে প্রাচীর ভেঙে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।এজন্য ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রাচীর ভেঙে ফেলার জন্য একাধিকবার নোটিশ দিয়েছে আরজুমানকে তারপরও তারা ভাঙ্গিনি। এছাড়াও আমরা তাদের গরীব মানুষ দেখে কিছু টাকাও ক্ষতিপূরন হিসাবে দিতে চেয়েছি তারপরও যেন তারা সীমানা প্রাচীর ভাঙে তারা সেই টাকাও নিবে না উল্টো আমাকে ও বাবাকে তারা হুমকি দেয়। কিছু দিন হলো বৃষ্টির পানিতে প্রাচীর হেলে পড়লে গত ৩০ জুন হাঁপানিয়া ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করলে একজন মহিলা মেম্বার ও চৌকিদার আসে তাদের সামনে আমাদের ঝুঁকিপূর্ণ প্রাচীর ভেঙে ফেলি। মোছা: শিউলী বেগম বলেন, গত ৩০ জুন বিকালে আমাদের বাড়ির পুরাতন দেওয়াল ভেঙে ফেলার পর থেকে আমাকে ও আমার স্বামীকে হুমকি ধামকি দেয় এবং ঘঠনার দিন সন্ধায় আমার স্বামী ও ছেলে বাজারে ব্যবসায়িক কাজে গেলে আরজুমান বেগম ও তার মামা শহিদুল ইসলাম পিছন থেকে এসে মারধর শুরু করে এবং ব্যবসায়ী কাজের প্রায় ৩ হাজার ১৫০ টাকা পকেট থেকে ছিনিয়ে নেয় তারা। এ সময় আমার স্বামী ও ছেলের ডাক চিৎকারে বাজারে লোকজন এগিয়ে আসলে আরজুমান বেগম ও তার মামা শহিদুল ইসলাম পালিয়ে চলে যায় ওই দিন রাতে আমার ছেলে আতিক বাদি হয়ে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার খবর পেলে আরজুমান বেগম ও তার মামা ক্ষিপ্ত হয়ে অজ্ঞাতনামা ৬/৭ লোক হাতে দেশীয় অস্ত্র, লাঠি নিয়ে এসে বাড়িঘর ভাঙচুর বাড়ির সামনে সিমেন্টের খাম্বা ও চুলার দোকানের প্রায় ২০ হাজার টাকার সিমেন্টের খাম্বা ও চুলা ভাংচুর করে যা কি-না মোবাইলে ও বাড়িতে লাগানো সিসি টিভি রেকর্ড আছে। আরজুমান বেগমের মামা শহিদুল ইসলাম নিজের মাথা নিজে ফাটিয়ে থানায় মিথ্যা মামলা করে আমার স্বামী ও ছেলেকে আসামি করে। মামলায় পুলিশ আমার স্বামিকে আটক করে। আমার স্বামী মোঃ হারুন অর রশিদ সম্পন্ন নির্দোষ ও সম্মানীয় ব্যক্তি তাকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়রানি করতেছে আরজুমান বেগম শুরু মাত্র টাকা খাওয়া জন্য। বিগত দিনেও এ রকম মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে গ্রামের অনেক মানুষের কাছে থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে এই আরজুমান বেগম। নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জাহিদুল হক বলেন, আতিক হোসেন বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 04:42:02 pm, Friday, 5 July 2024
33 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

নওগাঁয় ব্যবসায়ির বাড়িঘর ভাঙচুর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ

আপডেট সময় : 04:42:02 pm, Friday, 5 July 2024

নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁপানিয়া ইউনিয়নের লক্ষনপুর পশ্চিমপাড়া পৃর্ব শত্রুতা জেরে ব্যবসায়ি মোঃ হারুন অর রশিদের বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ ও তাকে মারপিট মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ একই এলাকার আরজুমান বেগম ও তার মামা শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে মোঃ হারুন অর রশিদের ছেলে আতিক হোসেন বলেন, আমার বাবার জমির সীমানা প্রাচীরে মোছা: আরজুমান বেগম রান্না ঘরের চাল তুলে তাদের দাবী করে। এই সীমানা প্রাচীর অনেক পুরাতন ফাটল ধরেছে তাদেরকে আমার বাবা মোঃ হারুন অর রশিদে অনেক দিন থেকেই বলেছে এই সীমানা প্রাচীর থেকে টিন গুলো সরিয়ে নিতে, তারা নাই নাই। এই সীমানার প্রাচীর অনেক পুরাতন হেলে পড়েছে প্রাচীর ভেঙে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।এজন্য ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রাচীর ভেঙে ফেলার জন্য একাধিকবার নোটিশ দিয়েছে আরজুমানকে তারপরও তারা ভাঙ্গিনি। এছাড়াও আমরা তাদের গরীব মানুষ দেখে কিছু টাকাও ক্ষতিপূরন হিসাবে দিতে চেয়েছি তারপরও যেন তারা সীমানা প্রাচীর ভাঙে তারা সেই টাকাও নিবে না উল্টো আমাকে ও বাবাকে তারা হুমকি দেয়। কিছু দিন হলো বৃষ্টির পানিতে প্রাচীর হেলে পড়লে গত ৩০ জুন হাঁপানিয়া ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করলে একজন মহিলা মেম্বার ও চৌকিদার আসে তাদের সামনে আমাদের ঝুঁকিপূর্ণ প্রাচীর ভেঙে ফেলি। মোছা: শিউলী বেগম বলেন, গত ৩০ জুন বিকালে আমাদের বাড়ির পুরাতন দেওয়াল ভেঙে ফেলার পর থেকে আমাকে ও আমার স্বামীকে হুমকি ধামকি দেয় এবং ঘঠনার দিন সন্ধায় আমার স্বামী ও ছেলে বাজারে ব্যবসায়িক কাজে গেলে আরজুমান বেগম ও তার মামা শহিদুল ইসলাম পিছন থেকে এসে মারধর শুরু করে এবং ব্যবসায়ী কাজের প্রায় ৩ হাজার ১৫০ টাকা পকেট থেকে ছিনিয়ে নেয় তারা। এ সময় আমার স্বামী ও ছেলের ডাক চিৎকারে বাজারে লোকজন এগিয়ে আসলে আরজুমান বেগম ও তার মামা শহিদুল ইসলাম পালিয়ে চলে যায় ওই দিন রাতে আমার ছেলে আতিক বাদি হয়ে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার খবর পেলে আরজুমান বেগম ও তার মামা ক্ষিপ্ত হয়ে অজ্ঞাতনামা ৬/৭ লোক হাতে দেশীয় অস্ত্র, লাঠি নিয়ে এসে বাড়িঘর ভাঙচুর বাড়ির সামনে সিমেন্টের খাম্বা ও চুলার দোকানের প্রায় ২০ হাজার টাকার সিমেন্টের খাম্বা ও চুলা ভাংচুর করে যা কি-না মোবাইলে ও বাড়িতে লাগানো সিসি টিভি রেকর্ড আছে। আরজুমান বেগমের মামা শহিদুল ইসলাম নিজের মাথা নিজে ফাটিয়ে থানায় মিথ্যা মামলা করে আমার স্বামী ও ছেলেকে আসামি করে। মামলায় পুলিশ আমার স্বামিকে আটক করে। আমার স্বামী মোঃ হারুন অর রশিদ সম্পন্ন নির্দোষ ও সম্মানীয় ব্যক্তি তাকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়রানি করতেছে আরজুমান বেগম শুরু মাত্র টাকা খাওয়া জন্য। বিগত দিনেও এ রকম মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে গ্রামের অনেক মানুষের কাছে থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে এই আরজুমান বেগম। নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জাহিদুল হক বলেন, আতিক হোসেন বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক ব্যবস্থা নিতে বলেছি।