সাঁথিয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে ১ ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও হাতুরি পেটা করে হাত পা ভেঙ্গে দিলো প্রতিপক্ষরা
পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়ায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে জাহাঙ্গীর আলম (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম ও হাত পা ভেঙ্গে দিলো প্রতিপক্ষরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের বড় সোনাতলা পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মোজাহার প্রামানিকের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (১৬জুলাই) রাতে। স্থানীয় ও থানার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নাগডেমরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ও সাবেক চেয়রাম্যান হারুন অর রশিদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন, হামলা, মামলা, লুটপাটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয় সূত্র জানায় এরই জের ধরে হাফিজুর রহমানের সমর্থক জাহাঙ্গীর আলম গত ১৬ জুলাই রাত ৯টার দিকে হাড়িয়া ক্যানাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে পার্শ্ববর্তী মিলটনের দোকানের পাশে পৌছামাত্র পূর্বপরিকল্পিতভাবে হারুন অর রশিদের সমর্থক রেজওয়ান হোসেন ওরফে রেজো, নূর আমিন লাদেন, সুরুজ আলী, শিপন, আজমত প্রামানিক, হাবিবর রহমান, রাকিব হোসেন, তন্ময় হোসেন , রানা, আশিক দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে ও হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তার চিৎকারে স্বজনেরা এসে তাকে উদ্ধার করে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পারিবারিকভাবে জানা গেছে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। নাগডেমরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান জানান, পূর্বপরিকল্পিতভাবে রেজওয়ান ওরফে রেজো গংরা জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এদিকে সাবেক চেয়ারম্যান ও নাগডেমরা ইউনিয়ন (খ অঞ্চল) আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ জানান, জাহাঙ্গীর আলমকে এভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি। এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক। আমি তাদের শাস্তির দাবী জানাই এবং এলাকায় শান্তি চাই। এ ঘটনায় আহত জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাসিম প্রামানিক বাদী হয়ে বুধবার (১৭জুলাই) সাঁথিয়া থানায় মামলা করেছেন। এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।