3:50 am, Friday, 20 September 2024

তেঁতুলিয়া উপজেলার ইউএনওর বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম

একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.ফজলে রাব্বির বিরুদ্ধে সংবাদকর্মীদেরকে তথ্যের জন্য অসহযোগিতা ,নিজের দপ্তরের দুই কর্মচারী ঠিকাদারি করলেও ব্যবস্থা না নেওয়া সহ সেচ্ছাচারীতার অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে যোগদান করার পর থেকে নিজের ইচ্ছা মতো পরিচালনা করেন দপ্তরটি দাবী ভুক্তভোগীদের। সম্প্রতি শেষ হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বাস্তবায়নকৃত এডিপি, রাজস্ব উন্নয়ন ও বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে খাতে মোট বরাদ্দ কত ও কোন কোন স্ক্রীমে কত বরাদ্দ ,নাম ঠিকানা চাওয়া হয়েছিল স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে। কিন্তু তথ্য না দিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের বার্তা বাহক জিয়াউর রহমান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কার্য সহকারী জহিরুল ইসলামের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মানে ঠিকাদারির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন ব্যবস্থা নেননি নির্বাহী অফিসার। এদিকে শালবাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করে এস এম মহসীনুর রহমান রুবেল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। সেটি শিক্ষা অফিসারসহ দুইজন তদন্ত করে রিপোর্ট দেন। কিন্তু প্রতিবেদনে কি সুপারিশ করা হয়েছে, অভিযোগকারীকে বিষয়টি বলতে রাজি হননি নির্বাহী অফিসার। রেজাসহ একাধিক সংবাদকর্মীরা বলেন, দেশের উন্নয়নমুলক কাজ জনগনের কাছে সংবাদ পরিবেশনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেননি, নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলী।নির্বাহী অফিসার চেয়ারম্যানের অনুমতি নিতে বলেছেন কিন্তু সরকারি নিয়ম মেনে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়া হলেও চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়া তথ্য দিতে পারবেন না বলেছেন তিনি। ভুক্তভোগী এস এম মহসীনুর রহমান রুবেল জানান, ইউএনওর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছি কিন্তু দেননি। বিচার বা কোন রায় না পাওয়ায় আমি জেলা শিক্ষা অফিসার ও রংপুর ডিডি অফিসে আবারও অভিযোগ করেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে রাব্বী জানান, সংবাদকর্মী যে তথ্যটি চেয়েছে সেটি কাজী মাহামুদুর রহমান যখন চেয়ারম্যান ছিলেন তার আমলের।এজন্য তাকে জানাতে বলেছি। সরকারি চাকুরিজীবি দুইজন কর্মচারীর বিষয়টি তারা ঠিকাদারি করছেনা জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 07:53:12 pm, Wednesday, 28 August 2024
81 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

তেঁতুলিয়া উপজেলার ইউএনওর বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

আপডেট সময় : 07:53:12 pm, Wednesday, 28 August 2024

একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.ফজলে রাব্বির বিরুদ্ধে সংবাদকর্মীদেরকে তথ্যের জন্য অসহযোগিতা ,নিজের দপ্তরের দুই কর্মচারী ঠিকাদারি করলেও ব্যবস্থা না নেওয়া সহ সেচ্ছাচারীতার অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে যোগদান করার পর থেকে নিজের ইচ্ছা মতো পরিচালনা করেন দপ্তরটি দাবী ভুক্তভোগীদের। সম্প্রতি শেষ হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বাস্তবায়নকৃত এডিপি, রাজস্ব উন্নয়ন ও বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে খাতে মোট বরাদ্দ কত ও কোন কোন স্ক্রীমে কত বরাদ্দ ,নাম ঠিকানা চাওয়া হয়েছিল স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে। কিন্তু তথ্য না দিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের বার্তা বাহক জিয়াউর রহমান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কার্য সহকারী জহিরুল ইসলামের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মানে ঠিকাদারির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন ব্যবস্থা নেননি নির্বাহী অফিসার। এদিকে শালবাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করে এস এম মহসীনুর রহমান রুবেল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। সেটি শিক্ষা অফিসারসহ দুইজন তদন্ত করে রিপোর্ট দেন। কিন্তু প্রতিবেদনে কি সুপারিশ করা হয়েছে, অভিযোগকারীকে বিষয়টি বলতে রাজি হননি নির্বাহী অফিসার। রেজাসহ একাধিক সংবাদকর্মীরা বলেন, দেশের উন্নয়নমুলক কাজ জনগনের কাছে সংবাদ পরিবেশনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেননি, নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলী।নির্বাহী অফিসার চেয়ারম্যানের অনুমতি নিতে বলেছেন কিন্তু সরকারি নিয়ম মেনে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়া হলেও চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়া তথ্য দিতে পারবেন না বলেছেন তিনি। ভুক্তভোগী এস এম মহসীনুর রহমান রুবেল জানান, ইউএনওর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছি কিন্তু দেননি। বিচার বা কোন রায় না পাওয়ায় আমি জেলা শিক্ষা অফিসার ও রংপুর ডিডি অফিসে আবারও অভিযোগ করেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে রাব্বী জানান, সংবাদকর্মী যে তথ্যটি চেয়েছে সেটি কাজী মাহামুদুর রহমান যখন চেয়ারম্যান ছিলেন তার আমলের।এজন্য তাকে জানাতে বলেছি। সরকারি চাকুরিজীবি দুইজন কর্মচারীর বিষয়টি তারা ঠিকাদারি করছেনা জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।