3:37 am, Friday, 20 September 2024

দেবীগঞ্জ নাইম বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে খাবার।

প্রতিনিধির নাম

একেএম বজলুর রহমান পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের নাইম বেকারীতে তৈরি করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার। দোকানে বিক্রি করা মেয়াদ উত্তীর্ন খাবার নতুন খাবারের সাথে মিশ্রিত করে সে খাবার পুনরায় বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।  নাইম বেকারীটি দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ তিস্তাপাড়া এলাকায়। দক্ষিণ তিস্তাপাড়ার মসজিদ মাদরাসার পাকা রাস্তার পূর্বপাশে আবাদি জমির উপর অবস্থিত।  নাইম বেকারীর নেই বিএসটিআই এর অনুমোদন, নেয়া হয়নি ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও নেই তাদের৷  কোন কাগজপত্র না থাকার পরেও তারা অবৈধ ভাবে জনসাধারণদেরকে নিম্ন মানের খাবার খাওয়াচ্ছেন। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। নিম্ন মানের কেমিক্যাল মিশ্রিত খাবার খেয়ে সাধারন মানুষের লিভার, কিডনীসহ মূল্যবান অঙ্গ নষ্ট হওয়ার

আশংকা রয়েছে।   নাইম বেকারীর সত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম নিজের বেকারীটি পরিচালনা করেন।  বেকারীতে কাজ করছে ৫/৬ জন কর্মচারী।  ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেকারীর ভিতরে ৫/৬ জন শ্রমিক কাজ করছে। কারো শরীরে কোন কাপড় ছিলনা। কারো হাতে গ্লোভস ছিলনা। অতিরিক্ত গরমের কারনে কাজ করা শ্রমিকদের শরীর থেকে ঘর্মাক্ত বের হচ্ছে। আর সেই ঘর্মাক্তগুলো খাবারের সাথে মিশ্রিত হচ্ছে। এভাবেই দিনের পর দিন শ্রমিকরা কাজ করছে।  অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নিম্নমানের উপকরন আর বিশাক্ত রং মিশিয়ে তারা খাবার তৈরি করছে। নোংরা পরিবেশেই তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রকারের রুটি, কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন রকমের খাদ্য সামগ্রী।  বেকারীতে কাজ করা শ্রমিকদের পোশাক ও হাতের গ্লোভস না থাকার কারন জিজ্ঞেস করলে তারা সু উত্তর দিতে পারেনি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কথা বললে আর নোংরা পরিবেশের ছবি তুললে শ্রমিকরা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন। তারা সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরন করেন।  নাইম বেকারীর মালিক নজরুল ইসলাম জানান, বিএসটিআই এর অনুমোদন নাই তবে ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের পঞ্চগড় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইউসুফ আলী জানান, আমাদের কাছ থেকে নাইম বেকারী নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেননি।  দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমপ্লেক্সের স্যানিটারী ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম জানান, তাদের শুধু সিভিল সার্জন অফিস থেকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। তাছাড়া তাদের কোন কাগজ পত্র নাই৷ আমরা মাঝে মাঝে বেকারীতে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করি। তাদের কে সকল কাগজপত্র ঠিক করার জন্য বলা হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 05:56:13 pm, Sunday, 8 September 2024
40 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

দেবীগঞ্জ নাইম বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে খাবার।

আপডেট সময় : 05:56:13 pm, Sunday, 8 September 2024

একেএম বজলুর রহমান পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের নাইম বেকারীতে তৈরি করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার। দোকানে বিক্রি করা মেয়াদ উত্তীর্ন খাবার নতুন খাবারের সাথে মিশ্রিত করে সে খাবার পুনরায় বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।  নাইম বেকারীটি দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ তিস্তাপাড়া এলাকায়। দক্ষিণ তিস্তাপাড়ার মসজিদ মাদরাসার পাকা রাস্তার পূর্বপাশে আবাদি জমির উপর অবস্থিত।  নাইম বেকারীর নেই বিএসটিআই এর অনুমোদন, নেয়া হয়নি ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও নেই তাদের৷  কোন কাগজপত্র না থাকার পরেও তারা অবৈধ ভাবে জনসাধারণদেরকে নিম্ন মানের খাবার খাওয়াচ্ছেন। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। নিম্ন মানের কেমিক্যাল মিশ্রিত খাবার খেয়ে সাধারন মানুষের লিভার, কিডনীসহ মূল্যবান অঙ্গ নষ্ট হওয়ার

আশংকা রয়েছে।   নাইম বেকারীর সত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম নিজের বেকারীটি পরিচালনা করেন।  বেকারীতে কাজ করছে ৫/৬ জন কর্মচারী।  ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেকারীর ভিতরে ৫/৬ জন শ্রমিক কাজ করছে। কারো শরীরে কোন কাপড় ছিলনা। কারো হাতে গ্লোভস ছিলনা। অতিরিক্ত গরমের কারনে কাজ করা শ্রমিকদের শরীর থেকে ঘর্মাক্ত বের হচ্ছে। আর সেই ঘর্মাক্তগুলো খাবারের সাথে মিশ্রিত হচ্ছে। এভাবেই দিনের পর দিন শ্রমিকরা কাজ করছে।  অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নিম্নমানের উপকরন আর বিশাক্ত রং মিশিয়ে তারা খাবার তৈরি করছে। নোংরা পরিবেশেই তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রকারের রুটি, কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন রকমের খাদ্য সামগ্রী।  বেকারীতে কাজ করা শ্রমিকদের পোশাক ও হাতের গ্লোভস না থাকার কারন জিজ্ঞেস করলে তারা সু উত্তর দিতে পারেনি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কথা বললে আর নোংরা পরিবেশের ছবি তুললে শ্রমিকরা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন। তারা সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরন করেন।  নাইম বেকারীর মালিক নজরুল ইসলাম জানান, বিএসটিআই এর অনুমোদন নাই তবে ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের পঞ্চগড় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইউসুফ আলী জানান, আমাদের কাছ থেকে নাইম বেকারী নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেননি।  দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমপ্লেক্সের স্যানিটারী ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম জানান, তাদের শুধু সিভিল সার্জন অফিস থেকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। তাছাড়া তাদের কোন কাগজ পত্র নাই৷ আমরা মাঝে মাঝে বেকারীতে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করি। তাদের কে সকল কাগজপত্র ঠিক করার জন্য বলা হয়েছে।