10:37 pm, Thursday, 19 September 2024

বরগুনায় ১৩৯৩ জন হতদরিদ্র পরিবার পেলো সুবিধা ” প্রশংসায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা

প্রতিনিধির নাম

বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনায় সঠিক যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে হতদরিদ্র পরিবার গুলো পেয়েছে কর্মসংস্থান ও আর্থিক সহায়তা, প্রশংসায় পঞ্চমুখ আমতলী উপজেলা সহ তিনটি উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রূপ কুমার পাল। এমনটি লক্ষ্য করা গেছে বরগুনার আমতলী উপজেলায়, কোন ঘুষ দুর্নীতি ছাড়াই এলাকার সকলের সহযোগিতায় তালিকা প্রস্তুত করে অসহায় হতদরিদ্র পরিবারগুলোকে বাছাই করে সুবিধা দেয়া হয়েছে। আর এতে করে মানুষের মাঝে একটি স্বচ্ছতার পরিচয় দিয়েছেন মহিলা বিষয়ক অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা। তাদের তদারকি এবং দিকনির্দেশনায় স্বাবলম্বী হয়েছে উপকারভোগিরা। নামটি যার রূপ কুমার পাল তিনি আমতলী উপজেলা ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত বরগুনা জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি বরগুনা সদর, তালতলী, আমতলী উপজেলার দায়িত্বে রয়েছেন। আমতলী উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরের আওতায় অসহায় পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্র নারীদের জীবনের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে গত ৫ নভেম্বর ২০২৩ সালে আমতলীতে আইসিভিজিডি’র ১বছর মেয়াদী টিএমএসএস’র বাস্তবায়নে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পে মোট ৫৬ টি গ্রুপে ১৩৯৩ জন সুবিধাভোগী রয়েছে। উপজেলায় প্রকল্প পরিচালনায়(এলএফ) পদে মাঠে ১১জন কর্মী রয়েছে। পদাধিকার বলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা প্রকল্পের সকল কাজ দেখবাল করে থাকেন। এই তিন উপজেলায় তার কর্মদক্ষতা দিয়ে তার অফিসের অন্যান্য মাঠকর্মীদের নিয়ে গ্রামগঞ্জে অসহায় হতদরিদ্রের তালিকা প্রস্তুত করে বিভিন্ন প্রজেক্ট এর তালিকায় সুবিধার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তিনি। এতে টিমএসএস’র নারী মাঠ কর্মীরা কাজ করে স্বস্তি পেয়েছেন। এই কর্মকর্তার প্রশংসা করছে সেই অসহায় দরিদ্র পরিবারগুলো। এরকমই একজন কর্মকর্তা দীর্ঘ সময় থাকলে আরো তাদের মত যারা অসহায় পিছিয়ে রয়েছে তারাও যাতে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় এমনটাই দাবি ওই এলাকার সাধারণ মানুষের। এলাকার সচেতনমহল বলছেন একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই কর্মকর্তার দাঁড়া অসৎ সুবিধা নিতে না পেরে , ব্যর্থ হয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও অফিসকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। মহিলা বিষয়ক অফিস থেকে সুবিধা পাওয়া অসহায় পরিবারগুলো বলছেন এখানে তিন মাসের কোর্স এ নারীদের সেলাই মেশিনের ট্রেনিং করানো হয়। হতদরিদ্রদের মাঝে গরু, ছাগল বিতরণ করেছে , হয়েছে নগদ অর্থ , সেই টাকা দিয়ে মৎস্য ঘের সহ পাশাপাশি করেছেন সবজির বাগান। এতে করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ ভালোই আছেন এমনটাই জানালেন হতদরিদ্র পরিবারগুলো। আমতলী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রূপ কুমার পাল বলেন, VWB কার্ড দাড়ি উপকারভোগী ২১৭০ জন, প্রতি মাসে তারা ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে, মা ও শিশু কর্মসংস্থান প্রতি মাসে ১৩২ জনে পাচ্ছেন মাসে মাতৃত্বকালীন আটশো টাকা এ সুবিধা ৩ বছর পাবেন । WTC ৩০ জনের ৩ মাস ট্রেনিং কার্যক্রম চলছে এতে প্রতি জন ছয় হাজার টাকা পাচ্ছেন। এখানে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চলছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ও বাল্যবিবাহ ব্যাপারে কাজ করা হয়। আইসি ভিজিডি ১৩৯৩ জন উপকার ভোগী মোট ২১৬০০/- টাকা পেয়েছে জানান উপজেলার এই শীর্ষ কর্মকর্তা। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তবে আরো যাহাতে সরকারের পক্ষ থেকে সুবিধা পান এমনটাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান অসহায় হতদরিদ্র পরিবাররা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 10:05:18 pm, Tuesday, 10 September 2024
29 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

বরগুনায় ১৩৯৩ জন হতদরিদ্র পরিবার পেলো সুবিধা ” প্রশংসায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা

আপডেট সময় : 10:05:18 pm, Tuesday, 10 September 2024

বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনায় সঠিক যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে হতদরিদ্র পরিবার গুলো পেয়েছে কর্মসংস্থান ও আর্থিক সহায়তা, প্রশংসায় পঞ্চমুখ আমতলী উপজেলা সহ তিনটি উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রূপ কুমার পাল। এমনটি লক্ষ্য করা গেছে বরগুনার আমতলী উপজেলায়, কোন ঘুষ দুর্নীতি ছাড়াই এলাকার সকলের সহযোগিতায় তালিকা প্রস্তুত করে অসহায় হতদরিদ্র পরিবারগুলোকে বাছাই করে সুবিধা দেয়া হয়েছে। আর এতে করে মানুষের মাঝে একটি স্বচ্ছতার পরিচয় দিয়েছেন মহিলা বিষয়ক অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা। তাদের তদারকি এবং দিকনির্দেশনায় স্বাবলম্বী হয়েছে উপকারভোগিরা। নামটি যার রূপ কুমার পাল তিনি আমতলী উপজেলা ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত বরগুনা জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি বরগুনা সদর, তালতলী, আমতলী উপজেলার দায়িত্বে রয়েছেন। আমতলী উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরের আওতায় অসহায় পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্র নারীদের জীবনের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে গত ৫ নভেম্বর ২০২৩ সালে আমতলীতে আইসিভিজিডি’র ১বছর মেয়াদী টিএমএসএস’র বাস্তবায়নে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পে মোট ৫৬ টি গ্রুপে ১৩৯৩ জন সুবিধাভোগী রয়েছে। উপজেলায় প্রকল্প পরিচালনায়(এলএফ) পদে মাঠে ১১জন কর্মী রয়েছে। পদাধিকার বলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা প্রকল্পের সকল কাজ দেখবাল করে থাকেন। এই তিন উপজেলায় তার কর্মদক্ষতা দিয়ে তার অফিসের অন্যান্য মাঠকর্মীদের নিয়ে গ্রামগঞ্জে অসহায় হতদরিদ্রের তালিকা প্রস্তুত করে বিভিন্ন প্রজেক্ট এর তালিকায় সুবিধার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তিনি। এতে টিমএসএস’র নারী মাঠ কর্মীরা কাজ করে স্বস্তি পেয়েছেন। এই কর্মকর্তার প্রশংসা করছে সেই অসহায় দরিদ্র পরিবারগুলো। এরকমই একজন কর্মকর্তা দীর্ঘ সময় থাকলে আরো তাদের মত যারা অসহায় পিছিয়ে রয়েছে তারাও যাতে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় এমনটাই দাবি ওই এলাকার সাধারণ মানুষের। এলাকার সচেতনমহল বলছেন একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই কর্মকর্তার দাঁড়া অসৎ সুবিধা নিতে না পেরে , ব্যর্থ হয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও অফিসকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। মহিলা বিষয়ক অফিস থেকে সুবিধা পাওয়া অসহায় পরিবারগুলো বলছেন এখানে তিন মাসের কোর্স এ নারীদের সেলাই মেশিনের ট্রেনিং করানো হয়। হতদরিদ্রদের মাঝে গরু, ছাগল বিতরণ করেছে , হয়েছে নগদ অর্থ , সেই টাকা দিয়ে মৎস্য ঘের সহ পাশাপাশি করেছেন সবজির বাগান। এতে করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ ভালোই আছেন এমনটাই জানালেন হতদরিদ্র পরিবারগুলো। আমতলী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রূপ কুমার পাল বলেন, VWB কার্ড দাড়ি উপকারভোগী ২১৭০ জন, প্রতি মাসে তারা ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে, মা ও শিশু কর্মসংস্থান প্রতি মাসে ১৩২ জনে পাচ্ছেন মাসে মাতৃত্বকালীন আটশো টাকা এ সুবিধা ৩ বছর পাবেন । WTC ৩০ জনের ৩ মাস ট্রেনিং কার্যক্রম চলছে এতে প্রতি জন ছয় হাজার টাকা পাচ্ছেন। এখানে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চলছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ও বাল্যবিবাহ ব্যাপারে কাজ করা হয়। আইসি ভিজিডি ১৩৯৩ জন উপকার ভোগী মোট ২১৬০০/- টাকা পেয়েছে জানান উপজেলার এই শীর্ষ কর্মকর্তা। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তবে আরো যাহাতে সরকারের পক্ষ থেকে সুবিধা পান এমনটাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান অসহায় হতদরিদ্র পরিবাররা।